যশোর প্রতিনিধি : যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবৈধভাবে আদায়কারি হিসেবে ৭/৮জন পাবলিক আদায়কারি নিয়োগ দিয়েছেন তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ । তাদের কাজ বাগআঁচড়াসহ সাতমাইল গরুর হাটসহ সারাদিন সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন এলাকা অবৈধভাবে চাদা আদায় করা।
স্হানীয় এলাকাবাসি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কয়েক মাস আগে চৌগাছা থানা থেকে বদলি হয়ে আসা পুলিশ ইন্সপেক্টর উত্তম কুমার বিশ্বাস, শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন। এরপর করোনার থাবায় সব কিছু অচল হয়ে পড়লেও এলাকায় মিল্টন মোস্তসহ ৭ থেকে ৮জন পাবলিক চাঁদাবাজ নিয়োগ দেন। নিয়োগের পর তারা বাগআচড়া এলাকায় ইন্সপেক্টরের নাম করে চাঁদাবাজি করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ভারত থেকে আসা গরু প্রতি আগে ২ থেকে ৩ শ টাকা পর্যন্ত নেয়া হতো । আর এখন চাঁদাবাজরা এক হাজার থেকে এক হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। আর এ টাকা না দিলে গরু আটকে দিচ্ছে। এছাড়া ভারত থেকে চোরাই পথে আসা বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য মাসোহারার হার বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস ।
মফিজুর রহমান এক গরু ব্যবসায়ী জানান, পুলিশের নিয়োগ করা চাঁদাবাজদের কারণে গরু ব্যবসা বন্ধ হতে চলেছে। আগে ২শ থেকে ৩শ করে টাকা দিলে হতো। এখন সেখানে অনেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকছে না। নতুবা অন্য রুট দিয়ে গরু আনতে হবে।
হাফিজ নামে আরো এক ব্যক্তি জানান, ভারতীয় মালামাল আনতে হলে মাসে ১ হাজার টাকা দিলেই হতো। এখন পুলিশের চাঁদাবাজদের ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইন্সপেক্টর উত্তম কুমার বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি চাঁদাবাজ নিয়োগের কথা অস্বীকার করেন। বলেন, কেউ যদি পুলিশের নাম করে টাকা নেয়। তাহলে তাকে ধরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সোপর্দ করার আহবান জানান তিনি।