চুকনগর প্রতিনিধি ॥ খুলনার ডুমুরিয়ায় সংখ্যালঘূ সম্প্রদায়কে পৈত্রিক ভোগদখলীয় সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা। তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের।
ডুমুরিয়া উপজেলার গোনালী গ্রামের মৃত ননি গোপাল বিশ্বাসের পুত্র স্বপন বিশ্বাস প্রাপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করেন, একই গ্রামের মৃত বক্র সরদারের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক সরদার গোনালী মৌজায় তার ওয়ারেশগনের কাছ থেকে প্রায় ৩বছর আগে তাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্য ভোগদখলীয় ১২শতক জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয় করার পর তাদের প্রাপ্য আনুমানিক ২৬ শতক জমি হারি দেয়ার নাম করে ঘেরের ভেড়ি তৈরি করে। কিন্তু বিবাদী কোন হারি প্রদান না করায় বিষয়টি তিনি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানায়। একপর্যায়ে শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে বিবাদী তার ক্রয়কৃত ১২শতক জমি মাপজোপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেয় এবং অবশিষ্ট জমি ভেড়িবাঁধ দিয়ে ভোগ দখলের জন্য বলে। এমতাবস্থায় গত ১৮জুন সকালে তাদের ভোগদখলীয় জমিতে ভেড়িবাঁধ তৈরি করতে গেলে বিবাদী আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই শাহাজান সরদার ও স্ত্রী রোজিনা বেগম দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে অশ্লীল গালিগালাজ করাসহ তাকে পিটিয়ে জখম করে। এঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে বাদী স্বপন বিশ্বাস বলেন,আগে পিটিয়ে তারা ান্ত হয়নি। আবার গত ৫জুলাই তাদের ঘেরে অনাধিকার প্রবেশ করে ভেড়িবাঁধ কেটে দেয়াসহ ঘেরের বাসা ভেঙ্গে দিয়েছে তারা। এঘটনায় বিবাদী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভাই আমি এখন ব্যস্থ আছি। পরে কথা বলব। মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিকের যোগসাজসে অবৈধভাবে অত্র বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন করে আতœসাৎ করার অভিযোগ। চুকনগর প্রতিনিধি ॥ মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিকের যোগসাজসে অবৈধভাবে অত্র বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন করে আতœসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোঃ নুর আলী শেখ নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ বেগম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত এরফান শেখের পুত্র ও অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোঃ নুর আলী শেখ প্রাপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করেন, উপজেলাধীন ৬নং মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। উক্ত বিদ্যালয় মাঠে বড় বড় ৫টি মেহগনী ও ১টি জাম গাছ ছিল। যার আনুমানিক মূল্য ২ল ৫০হাজার টাকা। অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিকের যোগসাজসে সরকারী অনুমতি ছাড়া ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের না জানিয়ে বিদ্যালয়ের উক্ত গাছ গুলো কর্তন করে বিক্রয় করে নিজেরা টাকা আতœসাৎ করেছে। এব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, আমরা গাছ কেটেছি সত্য। কিন্তু যে গাছ গুলো ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে পড়ে গিয়েছিল সেই গাছ গুলো কেটেছি এবং এগুলো দিয়ে বিদ্যালয়ের আসবাস পত্র বানানো হবে।