নজর কেড়েছে তালার সিআইজি সমিতি’র সফলতা

0
387

তালা উপজলো প্রতনিধি : তালা নজর কেড়েছে তালা’র সিআইজি সমিতির সফালতা। তালায় ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ টু প্রোজেক্ট(এনএটিপি-২) আওতায় সিআইজি সমিতি’র সফলতা মানুষের নজর কেড়েছে। তালা উপজেলা মৎস অধিদপ্তরের তত্বাবধানে যাদের পুকুর আছে ও মাছচাষ করে এমন ২০ জন সদস্য নিয়ে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ২৪ টি সিআইজি সমিতি পরিচালিত হয় । অধিদপ্তরের পরিপত্র অনুযায়ী সমিতির উদ্দেশ্য সদস্যরা নিয়মিত মাসিক চাঁদা প্রদান করে নিজেরাই পুঁজি তৈরী করে মাছচাষ করা। সে ক্ষেত্রে মৎস অধিদপ্তরও তাদের সার্বিক সহযোগীতা করবে। সদস্যদের সাবলম্বী করার জন্য সঞ্চয়ের সমপরিমান অর্থদিয়ে সহযোগীতা করবে অধিদপ্তর। মৎস্য অধিদপ্তর নিয়মিত এ সকল সমিতিতে মাছ ও মাছের খাদ্য বিনামূল্যে প্রদান করে আসছে, এবছর ও তার ব্যাতিক্রম নয়।সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ২৪ টি সমিতির সদস্যদের নির্বাচিত প্রতিটি পুকুরে ১ মণ কার্প জাতীয় মাছের পোনা ও মাছ লালনপালনের জন্য ৮ বস্তা খাবার দেয়া হয়েছে। যে পুকুর গুলো তদারকি ও পরামর্শ প্রদানের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগ দেয়া আছে যারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখে সমিতির সাথে, দেন পরামর্শ। ইতিমধ্যে বালিয়াদহা সিআইজি মৎস্যচাষী দল ও শ্রীমন্তকাটি সিআইজি মৎস্যচাষী সমবায় সমিতিতে ৩,৮৭,৫০০ টাকা মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। সমিতির সঞ্চয় ও প্রাপ্য টাকায় পিকআপ কিনবে তারা।খলিলনগর সিআইজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ^াস কোহিনুর ইসলাম বলেন, আমরা সমিতিতে মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ১ মণ রুই মাছ ও আট বস্তা খাবার পেয়েছি। সকলের চিনাজানার জন্য সমিতির নির্ধারিত পুকুরপাড়ে সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে।শ্রীমন্তকাটি সিআইজি মৎস্য সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ বসির উদ্দিন মোড়ল বলেন, শ্রীমন্তকাটি বাজারের পাশে আমাদের সমিতির পুকুর। অন্যবারের মতো এবারও আমাদের মৎস্য অফিস থেকে ১ মন মাছ ও ৮ বস্তা খাবার দেয়া হয়েছে। এ বছর মাছ চাষের দায়িত্ব আমার, আমিই মাছ চাষ করছি। মাছ ছাষ যাতে ভালোভাবে করতে পারি তার জন্য আমাদের প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সমিতি ভালো হওয়ার কারণে আমরা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে অফেরতযোগ্য ৩,৮৭,৫০০ টাকা পেয়েছি। আমরা এ টাকা ও সমিতির সঞ্চয় দিয়ে পিকআপ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা ভাড়ায় পরিচালিত হবে, লাভবান হবে সমিতির সদস্য’রা।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ন্সিগ্ধ্যা খাঁ বাবলী বলেন, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ টু প্রোজেক্ট(এনএটিপি-২) আওতায় ২৪টি সিআইজি সমিতি’র জন্য ৪,৮০,০০০ সরকার থেকে পেয়ে সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী প্রতিটি পুকুরে ১মণ কার্প জাতীয় মাছের পোনা ও ৮ বস্তা মাছের খাবার সমিতির সদস্যদের নির্বাচিত প্রতিটি পুকুরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এখন নিয়মিত আমাদের অফিসের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। যারা মাছ চাষ করছে তাদেরকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সাবলম্বী হওয়ার জন্য। আমাদের ২টি ভালো সিআইজি সমিতিতে পিকআপ কেনার জন্য তাদের চাহিদা মোতাবেক ৩,৮৭,৫০০ টাকা দিয়েছি, যাতে সমিতির আয়েই তারা সাবলম্বী হতে পারে।তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্প সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হলে সদস্যদের আর কা’রো কাছে হাত না পেতে নিজেরাই নিজেদের ও এলাকার মানুষের উন্নয়নে আংশীদার হতে পারবে, গড়ে উঠবে একটি সুশৃঙ্খল সমাজ। তাদের এই কার্যক্রম দেখে এগিয়ে আসবে যুব সমাজ, কমে আসবে সামাজিক বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here