কামরুজ্জামান লিটন ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ সারাদেশে মহামারী করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর জন্য আর্থিক অনুদান ও শহজ শর্তে ঋণের দাবীতে ঝিনাইদহে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
বুধবার ৮-৭-২০ তারিখ সকাল ১১ টার সময় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের ঝিনাইদহ জেলা শাখা। এতে ব্যানার ফেস্টুন, প্লেকার্ড নিয়ে জেলার বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের পরিচালক ও শিক্ষক, শিক্ষীকারা অংশ নেয়।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ও এজে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক গোলাম মোস্তফা চঞ্চল বলেন সরকারী স্কুলের পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো জেলার শিশু শিক্ষায় ব্যাপক ভুমিকা পালন করে আসছেন । এতে সরকারের যেমন কোন টাকা খরচ হচ্ছে না তেমন অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারনে স্কুলের আসবাব পত্র নষ্ট হয়ে গেছে, ঘরভাড়া দিতে পারছে না,
শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তাই শিশু শিক্ষার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধান মন্ত্রির সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা পেলে আমরা আবার নতুন করে শুরু করতে পারবো। রক্ষা হবে শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
তাই আমাদের দাবী এই প্রতিষ্ঠান ও এদের সাথে জড়িত উদ্দোক্তা, শিক্ষক কর্মচারী ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে এই শিক্ষাবান্ধব সরকার একটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে বলে আশা রাখছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আঃ মমিন, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক কামরুজ্জামান লিটন, কেমব্রিজ স্কুলের পরিচালক আতিয়ার রহমান,
নবগঙ্গা স্কুলের পরিচালক শরিফুল ইসলাম, ইউকে স্কুলের পরিচালক সাংবাদিক মাজেদ রেজা বাঁধন, অর্থ সম্পাদক অনু, শিক্ষা সম্পাদক শফিউদ্দিন, সহ সভাপতি শাহিনুর লিটন, জাহিদুল ইসলাম, হার্ভার্ড স্কুলের পরিচালক আঃ রহিম, এফ এম স্কুলের জাহিদ, টুডেস স্কুলের নিউটন সহ আরো অনেকে পরিচালক ও শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ।
বক্তারা বলেন একে একে কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলো করোনার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে দেশের শিক্ষা খাতের জন্য বড় হুমকি হিসাবে দেখা দেবে। আমরা সরকারের নিকট দাবী করছি আমাদের প্রনোদনা ও আর্থিক ভাবে সাহায্য করলে আমরা স্কুল গুলো আবার চালু করে শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারব।