কামরুজ্জামান লিটন , ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ শহরের পাড়া মহল্লায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার কয়েকটি গ্রামেও বিস্তার ঘটেছে মহামারি এই রোগের। ২৪ ঘন্টায় ঝিনাইদহে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে একজন। এই নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৭। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মুখপাত্র ডাঃ প্রসেঞ্জিত এ তথ্য জানান। সুত্রমতে বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত জামায়াত নেতা তাজুল ইসলাম (৬৫) মারা গেছেন। তিনি ঝিনাইদহ শহরের ট্রাক টার্মিনাল পাড়ার বাসিন্দা। এক সপ্তাহ আগে তার করোনা সনাক্ত হয়। নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ৃমত্যু ঘটে। অন্যদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত শৈলকুপার রাকিব হোসেনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মারা যান। রাকিব হোসেন শৈলকুপা উপজেলার মিন গ্রামের খেলাফত মন্ডলের ছেলে। এদিকে ঝিনাইদহের সাবেক সিভিল সার্জন ও খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা রঞ্জুর ছোট বোন পলি আক্তার বৃহস্পতিবার ভোরে কেরানায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ঝিনাইদহের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহিদের স্ত্রী। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদর্শপাড়ায় মামুন নামে এক যুবক করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব রণকের বড় ভাই।
পারিবারিক সুত্রে বলা হয়েছে, ৭ দিন ধরে মামুন করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগে ভুগছিলেন। এদিকে ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন পাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। বৃহস্পতিবার শহরের চাঁন্দমারি পাড়া, আদর্শপাড়া, সিদ্দিকীয়া সড়ক, সদরের যাত্রাপুর, শহরের ওয়ারলেস পাড়া, পাগলাকানাই, ব্যাপারীপাড়া, কোদালিয়া, ভুটিয়ারগাতি, পবহাটি, কাঞ্চননগর, পুলিশ লাইনস, সদর পুলিশ ফাঁড়ী, সদর ট্রাফিক পুলিশও আরাপপুর এলাকায় ২৪ জন করোনা সনাক্ত হয়। এছাড়া শৈলকূপার মিনগ্রাম, ভাঁটই বাজার, কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলৎপুর, খালকোলা, চাপালি, শিবনগর, হাট বারবাজার, ঢাকালেপাড়া, দুলাল মুন্দিয়া ও ফয়েলা গ্রামে ৭ জন পজিটিভ রোগী সনাক্ত হয়েছে।