সেলিম রেজা মুকুল, সাতক্ষীরা ব্যুরো প্রধান : সাতক্ষীরা ভোমরার সীমান্ত চোরাকারবারীদের এখন নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহারিত হচ্ছে। ভোমরায় অবস্থিত মার্কেটগুলোতে অবাধে চলছে ভারতীয় পণ্যের বেচাকেনা। বহিরাগত যে কেউ দেখলে মনে করবে এ মার্কেরগুলো ভারতে অবস্থিত। ভোমরা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা পণ্য মার্কেটে বেচাকেনা ও সাতক্ষীরা শহর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হচ্ছে। এই সমস্ত মার্কেটের মালিকরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্র ছাঁয়ায় থেকে প্রভাব বিস্তার করে ব্যবসা করে বলে স্থানীয়রা জানায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও করোনার কারণে পিছিয়ে যাওয়ায় মার্কেট গুলোই ভারতীয় পণ্যের অবাধ বেচাকেনা চলছে।
ভোমরা সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত হুন্ডির টাকা, মাদক দ্রব্য, আমেরিকান ডলার, জাল টাকা, রূপা, স্বর্ণ, হীরার গহনা, ভাইরাস যুক্ত ভারতীয় গলদার রেণু, নারী-শিশু ভারতে পাচার হচ্ছে। এই সমস্ত চোরাকারবারীরা কিছু রাজনৈতিক নেতাদের ছত্র ছাঁয়ায় থেকেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানায়। ভোমরা, লক্ষ্মীদাড়ী, পদ্মশাখরা, কোমরপুর, হারদ্দহা ও গাজীপুর সীমান্তে কয়েকটি চিহ্নিত পয়েন্টে এইসব পণ্য পারাপার হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। ভোমরায় অবস্থিত জাহাঙ্গীর মার্কেট, বাবু মার্কেট, ভাই ভাই মার্কেট ও মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে চলছে অবাধে ভারতীয় পণ্যের বেচাকেনা। দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও ক্রেতারা ভারতীয় পণ্য ক্রয়ের জন্য প্রতিদিন এই মার্কেটগুলোতে ভীড় করে। ভারতীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে সব ধরনের প্রশাধনী। বিভিন্ন ব্যান্ডের জুতা। সব ধরনের কসমেটিক্স, দামী শাড়ী, ত্রি-পিচ, চুরিদার শার্ট পিচ, রেইন কোর্ট, ছাতা, বেডছিট, গুড়া দুধ, ইলেকট্রিক সামগ্রী, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার ফল, ভারতীয় ঔষধসহ গৃহস্থলীর জিনিস। ফলে দেশী পণ্য বেচাকেনা এক প্রকার নেই। সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং দেশের কোম্পানীগুলো আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পরেছে দেশীয় পণ্য বিক্রি না থাকায়।
ভারত থেকে পাচার হয়ে আসছে এসব পণ্যের পাশাপাশি ইয়াবা, ফেন্সিডিল, মদ, ভারতীয় ভাইরাস যুক্ত গলদার রেণু। চোরাকাররারীদের পণ্য পারাপার বন্ধের জন্য ভোমরা সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা নিরালস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় জনসাধারণ জানায়।