কামরুজ্জামান লিটন ঝিনাইদহ : ‘মরণের আগে মর, সমনকে শান্ত কর, যদি তাই করতে পার, ভব পারে যাবিরে মন রসনা’ এমন হাজারো মরমী গানের শ্রষ্টা ঝিনাইদহের লোক কবি পাগলা কানাইয়ের ১শ’ ৩১তম ওফাৎ দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার সকালে সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে কবির মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ। সেখানে দোয়া মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল রশীদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ, পাগলাকানাই ইউপি চেয়ারম্যান এ. কে এম নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মরমী কবির জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। শেষে পরিবেশিত হয় কবির রচিত গান। পাগলা কানাই ১৮০৯ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার জীবন কেটেছে বেড়বাড়ি বোনের বাড়িতে। বাবার নাম কুড়ন শেখ, মায়ের নাম মোমেনা বিবি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কানাই সবার বড়। ভাইয়ের নাম উজ্জ্বল শেখ, বোন স্বরনারী। পাঠশালায় পড়াকালে তার বাবা কুড়ন শেখ মারা যান। পিতৃহারা হয়ে কানাই ভবঘুরে হয়ে যান। জীবনের তাগিদে মা মোমেনা বিবি কোনো উপায়ান্তর না দেখে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চেউনিয়া ভাটপাড়া গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে কিছুদিনের মধ্যে তিনিও মারা যান। মা হারিয়ে কানাই ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ড উপজেলার বলরামপুরে ভরস মণ্ডলের বাড়িতে গরুর রাখালির কাজ নেন। বোন স্বরনারী দুই ভাইকে সেখান থেকে নিজের আশ্রয়ে শ্বশুরবাড়ি মাগুরা জেলায় নিয়ে আসেন। বোনের শ্বশুরবাড়ির অবস্থা ভালো হওয়াতে কানাইয়ের গান চর্চার রাস্তা আরও সহজ হয়। কানাই বোনের বাড়ির গরুর পাল চরাতেন আর গান বাঁধতেন, তাতে সুর দিতেন। ছোটবেলা থেকেই পাগলাকানাই দুরন্ত প্রকৃতির, পাগলাটে স্বভাবের এবং আধ্যাত্ম প্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন। এ খেয়ালীপনার জন্যে শৈশবে স্নেহবশতঃ লোকে তার নামের সাথে “পাগলা’ অভিধাটি যুক্ত করেন। তার কর্মকীর্তির সাথে এ পাগলা উপাধিটি অভিন্ন সূত্রে গ্রথিত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তার কোন সঙ্গীত শিক্ষা না থাকলেও জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কবির আত্মার আত্ম-জিজ্ঞাসা ও আত্ম-অন্বেষণ তাকে প্রখর অধ্যাত্মজ্ঞানে পরিপূর্ণ করে তোলে। তার গানে ইসলাম ও আল্লাহর প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এঁর প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ পায়। পাগলা কানাই নিরক্ষর হলেও তার স্মৃতি ও মেধা ছিল অত্যন্ত প্রখর। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে একের পর এক গান রচনা করতে পারতেন। তিনি যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনা রাজশাহী, বগুড়া প্রভৃতি স্থানে আধ্যাত্মিকতাপূর্ণ গান গেয়ে বেড়াতেন। এ পর্যন্ত পাগলা কানাই রচিত গানের মধ্য মাত্র শ’তিনেক সংগৃহীত হয়েছে। মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন, ড, মাযহারুল ইসলাম, আবু তালিব, আমিন উদ্দিন শাহ, দুর্গাদাস লাহিড়ী, উপেন্দ্রনাথ ভট্রাচার্য প্রমুখ মনীষীগণ পাগলা কানাইয়ের গানের সংগ্রহ ও গবেষণা করেছেন।
গাংনীতে মসজিদের সামনে থেকে ৪ মুসল্লির মোটরসাইকেল চুরি
মেহেরপুর অফিস: জুম্মার নামাজের সময় গাংনী উত্তর পাড়া ও পৌর মসজিদের সামনে থেকে ৪টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ মে) মুসল্লীদের নামাজ পড়ার...
পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে – অধ্যাপক নার্গিস বেগম
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবসের আলোচনায় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ভারত পানিকে মরণাস্ত্র হিসেবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। যা...
আশাশুনিতে খুলনার তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে শুভেচ্ছা মিছিল পথসভা
এম এম সাহেব আলী আশাশুনি থেকে; আগামীকাল ১৭ই মে খুলনার তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে উপজেলা যুবদলের শুভেচ্ছা মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । শুক্রবার...
আশাশুনির বড়দলে খুলনার তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
এম এম সাহেব আলী আশাশুনি থেকে; খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আশাশুনি বড়দলে যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল বিকালে গোয়ালডাঙ্গা বাজারে...
বেনাপোলে জেলা সেচ্ছাসেবকদলের” খুলনায় তারুণ্যের মহাসমাবেশ প্রচার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ
বেনাপোল থেকে এনামুল হকঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর নির্দেশে খুলনায় তারুণ্যের মহাসমাবেশ করার জন্য। আগামীকাল ১৭ই মে খুলনায়...