নড়াইলে ডাক্তার ছেলের হামলায় বাবা আহত

0
217
নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ    নড়াইলের তুলারামপুরের গ্রাম্য ডাক্তার শাহিন মোল্যার হামলায় পিতা মশিয়ার মোল্যা জখম হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানাগেছে সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের দক্ষিন তুলারামপুর গ্রামের মশিয়ার মোল্যা (৭০)কে ডাক্তার পুত্র শাহিন মোল্যা (৩৪) মিলন মোল্য (৪০) তুহিন মোল্যা (৩৮) তিন পুত্রসন্তান ও প্রথম স্ত্রী হাজেরা বেগম মারপিট করে জখম করেছে। মশিয়ার মোল্য বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালের ১৪ নম্বর বেডে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।  মশিয়ার মোল্যা বলেন,গতকাল বিকালে আমি আমার ছোট স্ত্রীকে বসত ঘরে থাকা অবস্থায় আতর্কিত ভাবে আমার প্রথম স্ত্রী হাজেরা বেগম তার তিন সন্তানদের নিয়ে আমাকে বাশের লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এখন দেখছি আমার হাত ভেঙ্গে গেছে ব্যান্ডেজ করা।
তিনি আরো জানান দীর্ঘ্য ২০ বছর ধওে আমার প্রথম স্ত্রী হাজেরা আমাকে শারিরীক নির্যাতন করছে আমার নামের সম্পত্তি তার নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য। আর এ জন্য প্রায়ই আমাকে ছেলেদের দিয়ে মারপিট করায়। আমি যে জমিতে বসবাস করি সে জমি একই গ্রামের চরপাড়ার ভবেশ চৌধূরীর সাথে এয়োজ বদল করা।
সম্প্রতি আমাদের উভয়ের জমির উপর দিয়ে রেল লাইন স্থাপন হওয়ার কাজ শুরু হয়। এই রেললাইনের টাকা আমার ডাক্তার ছেলে শাহিন মোল্যা তার নিজের নামে উত্তোলনের জন্য ভবেশ চৌধূরীর কাছ থেকে না-দাবি প্রত্যয়ন পত্র লিখে নেয়। সেটা আমি জানতে পেরে আমার শরীক ভাইদের জানিয়ে দেই। এতে বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওরা সবাই মিলে গতকাল আমাকে মারপিট করেছে।
মশিয়ার মোল্যার ছোট স্ত্রী বলেন,আমার সতীন তার ছেলে ও ছেলেবউদের নিয়ে এসে আমার স্বামীকে শুধু মারপিটই করে নাই আহত স্বামীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে বা ভ্যান আনতে ও বাধা দিয়েছিল এবং আমার ঘরে থাকা ৭০ হাজার টাকা ও একটা সোনার চেইন ও সোনার কানের দুল নিয়ে গেছে। পরে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা এসে দেখে ভ্যান এনে দিলে তারপর আমার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারি। আমার স্বামীর হাত,পা ও বুকের হাড়ে মারাত্বক সমস্যা হয়েছে।ডাক্তার শাহিন মোল্যা ও তার মা হাজেরা বেগম বলেন,মারপিট করা হয়নি শুধ ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন,মশিয়ার মোল্যার অবস্থা আশংকা জনক। আমরা এক্সেরে ও কিছু টেষ্ট করতে দিয়েছি রিপোর্ট পেলে স্বার্বিক বিষয়ে বলতে পারবো।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন,আমরা হাসপাতাল মারফত বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here