আলাউদ্দিন ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : চেক উদ্ধারের মামলায় মহেশপুরের স্বরূপপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে তল্লাশীপরোয়ানা জারীর আদেশ হয়েছে। এ দিকে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী কুশাডাঙ্গা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তফাকামাল। তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আরও একটি মামলা করেছেন। মামলার বিবরণে এবং ভুক্ত ভোগী বাদী মোস্তফা কামাল এর অভিযোগে জানা যায়, তিনি মহেশপুর উপজেলার কুষাডাঙ্গা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। ২য় প মিজানুর রহমান পদাধিকার বলে ওই বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা এবং তিনি ৪ নং স্বরূপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার রাত ৯টার সময় ভুক্তভোগী মোস্তফা কামালকে স্বরূপপুর ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্কুলের নামের জনতা ব্যাংক, জীবননগর শাখার ৩টি চেকে স্বার করিয়ে নেয়। ঐ সব চেক দিয়ে বাদীর সমূহ তি করতে পারে এমন অভিযোগে গত ৩০ জুলাই ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক উদ্ধারের জন্য সার্চওয়ারেন্ট চেয়ে মামলা করেন।
মামলানং ২৮১/২০। ধারা ৯৮ ফৌজদারীকার্যবিধি।এদিকে এই মামলা করার কারণে ঐ চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ভুক্তভোগী মোস্তফা কামালকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং তাকে খুনকরে লাশ গুম করে দেবে এমন অভিযোগে আরও একটি মামলা করেছেন তিনি। মামলা নং-২০২/২০।ধারা ফৌজদারী কার্য বিধির ১০৭/১১৭ (৩)। এই ব্যাপারে তল্লাশী পরোয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোর্শেদ হোসেন খান বলেন, তিনি আদালতের পরোয়ানা পেয়েছেন। সেটি তামিল করতে তিনি দত্তনগর পুলিশ ক্যাম্পের আইসিকে হাওলা করেছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে ৪নং স্বরূপ ইউপি চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তার নামে সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে বলে তিনি স্বীকারকরেন। তিনি আরও জানান, তিনি জোর করে চেক নেন নি। চেক নিয়েছে অন্য লোক। তবে তার নামে অন্যায় ভাবে মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।