যবিপ্রবি প্রতিনিধি : গত সোমবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সেকশন অফিসার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসানের অফিস কক্ষে ভাংচুর ও তাঁকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ছয় জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত নিরাপত্তা প্রহরী বদিউজ্জামান বাদলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসান বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী বদিউজ্জামান বাদল (৩৫), এস্টেট শাখার মালী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (৩৩), ট্রেজারার দপ্তরের অফিস সহকারী আরিফুল ইসলাম শাহীন (৩৯), রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার শাহিন হোসেন (৩৪), ইকবাল হোসেন (৪৫) ও রেজিষ্ট্রার দপ্তরের ডেসপাস রাইডার ইমরান হোসেনের (৩২) নামে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ১ নম্বর অভিযুক্ত আসামী বদিউজ্জামান বাদলকে গত সোমবার ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এদিকে সোমবার এ টি এম কামরুল হাসানের অফিস কক্ষ ভাংচুর ও সংগঠিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার তদন্ত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ, সদস্য কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী পিইঞ্জ ও সদস্য-সচিব কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম সাজেদুর রহমান জুয়েল। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর জমা দিতে বলা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার তদন্ত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও মামলা করা হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত রয়েছে।