চৌগাছায় করোনা নিয়ে তিনদিন অফিস করলেন, কিস্তি আদায় করলেন ব্র্যাকের ম্যানেজার

0
419

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : করোনা নমুনা দেয়ার পরও ব্র্যাকের যশোরের চৌগাছা উপজেলার পুড়াপাড়া ব্রাঞ্চের ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম তিনদিন ধরে নিয়মিত অফিস করেছেন এবং ঋণের কিস্তি আদায় করেছেন। বুধবার তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর বিষয়টি জানাজানি হলে পুড়াপাড়া এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। একইভাবে নমুনা দেয়ার পর সোনালী ব্যাংক চৌগাছা শাখার স্টাফ মুন্তাজ আলীও মঙ্গলবার অফিস করেছেন। বুধবার সকালেও অন্যদিনের মত অফিসে যান। পরে বুধবার সকাল ১০টার পর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার থেকে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর তাদের ট্রেস করে করোনা পজেটিভ জানানো হলে তারা অফিস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার বলেন বুধবার চৌগাছায় নতুন করে তিনজনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। তারা হলেন ব্র্যাকের পুড়াপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংক চৌগাছা শাখার স্টাফ মুন্তাজ আলী ও উপজেলার জগদিশপুর ইউনিয়নের মাড়ুয়া গ্রামের আমজাদ বিশ^াস। তিনি জানান এদিন সোনালী ব্যাংকের চৌগাছা শাখার ব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলাম আতিককে সুস্থ্য ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে চৌগাছায় মোট করোনা রোগির সংখ্যা দাড়ালো ৬৮ তে। এর মধ্যে ৩৬ জনকে সুস্থ্য ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল ১০ টা ৪৬ মিনিটে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময়ও ব্র্যাকের পুড়াপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম নিজের অফিসেই অফিস করছিলেন। তৌহিদুল ইসলাম নমুনা দেয়ার সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে মোবাইল ফোন নম্বরটি দেন সেটি দির্ঘসময় ধরে বন্ধ ছিল। ফলে তাকে ট্রেস করা সম্ভব হচ্ছিল না।
একইভাবে সকাল ১০টা ০৩ মিনিটে মুন্তাজ আলীও মোবাইলে সাথে কথা বলার সময়ে ছিলেন নিজের অফিস চৌগাছা সোনালী ব্যাংকে। মুন্তাজ আলী আবার নমুনা দেয়ার সময়ে হাসপাতালে নিজের মোবাইল ফোনের নম্বরটিও দেন নি। তার মোবাইল নম্বরের জায়গায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মোবাইল নম্বর এবং নামের স্থলে মুন্তাজ আলীর জায়গায় মমতাজ আলী ছিল। ফলে তাকেও ট্রেস করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তা নিয়ে তাদের দু’জনকে ট্রেস করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন ১৯ জুলাই চৌগাছা থেকে ৭ জনের নমুনা যশোর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে যবিপ্রবি’র জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে মঙ্গলবারের পরীক্ষায় ৩ জনের নমুনা পজেটিভ হয়। যার রিপোর্ট বুধবার সকালে এসে পৌছে। তিনি জানান রিপোর্ট আসার পরও ব্র্যাকের পুড়াপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলামের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় এবং সোনালী ব্যাংক চৌগাছা শাখার স্টাফ মুন্তাজ আলীর নাম মমতাজ আলী থাকা এবং মোবাইল নম্বর ভুল থাকায় তাদের ট্রেস করতে দেরি হয়েছে। তিনি জানান বর্তমানে তারা নিজেদের বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here