নোমান পারভেজ, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ ঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সংস্কারের নামে খালের পাকা রাস্তা কেটে দেওয়ায় ৩০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও শত শত একর জমির রোপা আমন ধান চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এবং সেই সাথে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে চরম অভিযোগ উঠায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শৈলকুপার উত্তর মির্জাপুরের এস .৮.এ.কে খাল, এলাকায় নাজির জোয়ার্দ্দারের খাল বলে পরিচিত, এই খালের পশ্চিম পাশের রাস্তা খালের সাইফন সংস্কারের নামে কেটে দেওয়ায় বিশাল এক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই গর্ত দিয়ে খালের পানি বাইরে বের হয়ে যাওয়ায় খাল শুকিয়ে যাচ্ছে। আবার এই রাস্তা দিয়ে ৩০ গ্রামের মানুষের চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাস্তা কেটে দেওয়ায় খালের সমস্থ পানি বাইরে চলে যাওয়ায় শত শত একর জমিতে আমন ধান চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।এই রাস্তা দিয়ে বৃত্তিপাড়া, বৃত্তিদেবী রাজনগর, ধর্মপাড়া,মির্জাপুর,রাজাপুর,মধুদহ, কচুয়া, কাচেরকোল, বাখরবা , খন্দকবাড়িয়া, বেনীপুর, আগুনিয়াপাড়া,সিদ্দি, আমতলা,তমালতলা ,হড়রা, দিগনগর সহ ৩০ গ্রামের মানুষ চলাচল ও মাঠে চাষাবাদ করে থাকে। জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ন্যাচারাল কুষ্টিয়া, নাসির মোল্লা,হবিবর রহমান ও লাল বাবু এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে। তবে তাদের মাধ্যমে এই এলাকার কাজ করে থাকে শৈলকুপার মতিয়ার রহমান নামে এক ঠিকাদার। এস. ৮.এ. কে খালের পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি আঃ সাত্তার বলেন ঠিকাদার মতিয়ার রহমান ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে ভাল রাস্তা কেটে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে এখন শুধু জনদূর্ভোগই না শত শত একর জমির রোপা আমন ধান চাষে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা এস,৮.এ.কে.খালের পানি ব্যবস্থাপনা দলের সাধারণ সম্পাদক মীর নওশের আলী বলেন উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে রাস্তা কেটে ঠিকাদারমতিয়ার রহমান এই কাজটি করেছে অধিক সরকারী বরাদ্দ পাওয়ার আশায় এখানে সে কোন কাজ করেনি অথচ রাস্তা কেটে বিশাল গর্ত করে মনুষ্য সৃষ্ট সংকট সৃষ্টি করেছে। এখানে এক পয়সার কাজ হয়নি। তিনি আরো বলেন খালের ভাল রাস্তা কেটে বিশাল গর্ত সৃষ্টি করে মোটা অংকের ভ’য়া প্রজেক্ট পাসের পায়তারা করছে। শুধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান না এর সাথে জি, কে প্রকল্পের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা জড়িত। আমরা এই জনদূর্ভোগের তদন্ত পূর্বক শাস্তি দাবী করছি। তবে ঠিকাদার নাসির উদ্দিন এর বার বার মোবাইল করেও পাওয়া যাইনি। কুষ্টিয়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন এই প্রতিবেদককে বলেন এখানে খালের পূর্ব পাশে ছোট একটা সংস্কারের কাজ ছিল তবে খালের পশ্চিম পাশের রাস্তা কাটা বা গর্ত করার কথা ছিল না, বিষয়টি আমরা দেখছি।