ভোমরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে ধর্ষক মাসুদ আটক

0
263

মাস্টার শফিকুল ইসলাম, ভোমরা (সাতক্ষীরা) থেকে ঃ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহাদূর্যোগ মুহুর্তেও থেমে নেই ইভটিজিং, প্রেমের প্রলোভন আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ঝড়িয়ে শ্লীলতাহানি মত অসামাজিক কর্মকান্ড। স্কুল ও কলেজ পড়–য়া অধিকাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ছে মিথ্যা প্রেমের প্রলোভন ফাঁদে। কিছু বখাটে উচ্ছৃঙ্খল উঠতি বয়সের যুবকদের লোলুপ দৃষ্টি আর অশোভন কথোপথনে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে এসব কলেজ পড়–য়া উঠতি বয়সী যুবতীরা। এমন অনেক অসামাজিক ঘটনার সূত্রপাত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন, নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারন করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ। ওই যুবক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা বন্দর সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীদাঁড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র মাসুদ হোসেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার (২৬ জুলাই ২০২০) লম্পট মাসুদকে আটক করে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ভোমরার লক্ষ্মীদাঁড়ী গ্রামের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কয়েক মাস পূর্বে তার চাচার বাড়ীতে বেড়াতে যায়। ২০১৯ সালের ২৭ মে এবং ৩ ডিসেম্বর একই গ্রামের লম্পট মাসুদ তাকে ধর্ষন করে। সে সময় কৌশলে মেয়েটির আপত্তিকর ছবি ভিডিও ধারন করে লম্পট মাসুদ। পরে ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির পিতা জাহিদুল ইসলামের কাছে ১ লক্ষ চাঁদা দাবি করে। কিন্তু ভুক্তভোগীর পিতা জাহিদুল তার মেয়েকে কলঙ্কের হাত থেকে বাঁচাতে প্রথমে ৩০ হাজার দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও পরবর্তীতে আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ওই লম্পট। টাকা না দিলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মাসুদের বড় ভাই ছাব্বিরের কাছে অভিযোগ দিলে সেও চাঁদার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই লম্পট মাসুদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। উপায়ন্তর হয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির পিতা বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় (২৬ জুলাই ২০২০) নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। (যার নম্বর- ৯০) উক্ত মামলায় পুলিশ অভিযুক্ত লম্পট মাসুদকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগির পরিবার ওই লম্পটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here