শহিদুল ইসলাম দইচ : যশোর জেলা ডিবি (গোয়েন্দা)পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোর চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে । এসময় ওই চক্রের হেফাজত থেকে ১৮টি ইজিবাইক, ৭০ পিস চেতনানাশক ট্যাবলেট ও নয়টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুর একটার দিকে যশোর জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন তার কনফান্সে রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন সিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) তৌহিদুল ইসলাম ,ডিবি ( গোয়েন্দা) ওসি সোমেন দাশ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফ হোসেন জানান, পুলিশ জানতে পারে নড়াইলের চাকই গ্রামের ইজিবাইক চালক রফিক গাজীকে গত ২৮ জুলাই ফোন করে ভাড়ার কথা বলে যশোরের অভয়নগরের দেয়াপাড়া ব্রিজের সামনে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এরপর রফিক গাজীর ইজিবাইক নিয়ে ওই ব্যক্তি বসুন্দিয়ায় যায়। সেখানে এক বাড়িতে তারা দুপুরের খাবার খায়। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় পুলিশ রফিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২ আগস্ট জ্ঞান ফিরলে রফিক জানান, তার ইজিবাইক, নগদ টাকা ও মোবাইল খোয়া গেছে। এরপর বুধবার রাতে জেলা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সোমেন দাশের নেতৃত্বে একটি টিম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোলাবাড়ীয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূলহোতা আলম ফারাজি, রবিউল ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করে। এসময় সেখান থেকে ইমরান শেখ নামে অপহৃত কুষ্টিয়ার এক ইজিবাইক চালককেও উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য মতে, কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস ফুলতলা এলাকার মিজানুর রহমানের গ্যারেজ থেকে রফিক গাজীরটিসহ মোট ১৮টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গ্যারেজ মালিক মিজানুরকে আটক করা হয়। পুলিশ সুপার আরো জানান, আসামিদের কাছ থেকে ৭০ পিস চেতনানাশক ট্যাবলেট ও নয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। যা দিয়ে তারা ইজিবাইক চালকদের অপহরণ ও ইজিবাইক ছিনতাই করতো। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা করা হয়েছে এবং গতকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।