তালায় গ্রাম্য ডাক্তারকে প্রতারণামূলক হয়রানীর অভিযোগ

0
230

পার্থ কুমার ম-ল,(তালা প্রতিনিধি) : তালার পল্লীতে এক নারী কর্তৃক গ্রাম্য ডাক্তাকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিথ্যা অভিযোগে কিছু দিন পূর্বে সাতক্ষীরা প্রেসাক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ঐ নারী।ঘটনার বিবরনে জানা যায়, তালা উপজেলার চরকানাইদিয়া গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার আজিজুর গাজীর প্রতিবেশী মর্জিনা বেগম ২০ লক্ষ টাকার দাবি করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সে একই গ্রামের দিনমজুর মান্নান শেখের স্ত্রী। সে নিজেও দিনমজুরী করে সংসার চালায়। পূর্ব থেকে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে দেড় লক্ষ টাকা পাবে বলে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন নেতাসহ মেম্বর চেয়ারম্যানের কাছেও ধ্বর্ণা দিচ্ছে টাকা আদায়ের জন্য। লিখিত কোন প্রমাণ না থাকায় তার পক্ষে স্বাক্ষী দেবার জন্য টাকা দিয়ে লোকও ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে মর্জিনা বেগম।ডাক্তার আজিজুর বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে এই মহিলার সহিত আমার কথা বন্ধ। তার বাড়িতে ঐ গ্রামের জবেদ আলী গাজী দিনে রাতে যাওয়া আশা করে, আপত্তিকর অবস্থায় মেলামেশা করে যা প্রতিবেশীরাও জানে। আমি নিষেধ করায় যত বিপত্তি। আমি প্রতিবাদ করার কারণে কথা বন্ধ হয়ে গেছে। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় পতিপন্ন করার জন্য এই জবেদ আলী তাকে দিয়ে এ মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। সে আমার কাছে কোনো টাকা পাবে না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যে ব্যক্তি নিজে দিন মজুরী করে সংসার চালায়, সে কি ভাবে আমাকে এত টাকা দিবে? তার মেয়ে জর্ডানে থাকে, টাকা পাঠায় মর্জিনার নামে সে টাকা আমি কি ভাবে নিব? এত টাকা নিলে কোনো না কোনো লোক জানতে পারত। কেউ কোনোদিন আমাকে তার সাথে ব্যাংকে দেখেনি, ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাও বলতে পারবে না।তিনি আরও বলেন, আমার বাড়িতে সে কখনো ঝিয়ের কাজ করেনি। ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া নেয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, আর তার টাকা আমি কেন লেনদেন করতে যাব?জালালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রশিদ মোড়ল বলেন, ডাঃ আজিজুরের প্রতিবেশী মর্জিনা বেগম আমার কাছে গিয়েছিল টাকার কথা জানাতে। তখন সে আজিজুর ডাক্তারের কাছে দেড় লক্ষ টাকা পাবে বলে আমাকে জানিয়েছিল কিন্তু কোন প্রমান দেখাতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, জবেদ আলী গাজীও আমার কাছে এই টাকা আদায়ের জন্য গিয়েছিল। প্রমাণ না থাকলে টাকা আদায় হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু বলেন, মর্জিনা বেগম ডাঃ আজিজুরের কাছে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাবে বলে আমাকে জানিয়েছে, কিন্তু কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। আবার আজিজুরও ঐ টাকার কথা অস্বীকার করে। যেহেতু কোন প্রমাণ নাই সে ক্ষেত্রে কি বা করার আছে? বিশ লক্ষ টাকার বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। যদি বিশ লক্ষ টাকা পাবে তাহলে আমার কাছে দেড় লক্ষ টাকার কথা বলবে কেন?টাকার বিষয়ে ফোনে জানতে চাইলে টাকার সঠিক কোনো হিসাব দিতে পারেনি। টাকা কোথা থেকে এল, এত টাকা দিলেন কেউ জানে না কেন, কোনো প্রমাণ রাখেননি কেন এমন প্রশ্নের কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি মর্জিনা। জবেদ আলী তার বাড়িতে যাওয়া আশা করলেও কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই বলে তিনি জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here