জসিম উদ্দিন, শার্শা থেকে: মানুষ মানুষের জন্য, জিবন জিবনের জন্য, একটু সহানুভূতি মানুষ কি পেতে পারেনা। বলছি শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারের শিশু সন্তান সিয়ামের কথা।
মাত্র ৮ বছর বয়সে মরণব্যাধি ব্রেইন ক্যান্সার তার শরীরে বাসা বেধেছে। যেই বয়সে শিশু সিয়ামের স্কুলে লেখা পড়ার কথা। দুুই পাঁচজন ছেলে মেয়ের মত খেলাধুলা করে হেসে খেলে বেড়ানোর কথা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে সে।
শিশু সিয়াম শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও রিমা খাতুন দম্পতির ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সিয়াম দ্বিতীয়।
শিশু সিয়ামের পিতা শহিদুল ইসলাম জানান, এক বছর আগে ছেলে সিয়াম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা করানো হলে কোন ফল পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে যশোর শহরের প্রাইম ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের ডাঃ মোঃ আব্দুস সালাম (সেলিম) এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য),এমফিল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক এর কাছে চিকিৎসা শুরু করি।
সেখানে বিভিন্ন রকমের টেস্ট করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিয়ামের রোগের কোন পরিবর্তন না হওয়ায় গত ১০,০৮,২০ইং আবার একটি টেস্ট দেয়া হয়। সেখানে রিপোর্টে সিয়াম ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে জানতে পারি।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাকে ঢাকা পিজি হাসপাতালে দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে।এতে খরচ হবে প্রায় ৮-১০লাখ টাকা, যা তার দারিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে জোগাড় করা একে বারেই অসম্ভব।
শিশু সিয়ামের পিতা শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আমার দারিদ্র ছেলের পিছনে চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল,গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করেছি।
এখন ভিটাবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই। ভিটাবাড়ি বিক্রি করলে আমাদের পথে বসতে হবে। এজন্য শিশু সিয়ামকে বাঁচাতে তার পিতা-মাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা যোগাযোগ পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম বিকাশ নাম্বার ০১৭৯৮-২৮০৪৫৭।