স¦াভাবিক জোয়ারেই ভাসছে উপকূলের জনপদ দশমিনা অতিবর্ষন ও জোয়ারের পানিতে চরাঞ্চল প্লাবিত, শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

0
232

নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় স্বাভাবিক জোয়ারেই প্লাবিত হয়ে পড়েছে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের উত্তর রনগোপালদী ও আলীপুরা এবং বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। এদিকে উত্তর রনগোপালদী এলাকায় তীর রক্ষাবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রাম ও বাজার জোয়ারের পানিতে ভাসছে।
অবিরাম টানা বর্ষন এবং জোয়ারের পানিতে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার মূল ভূ-খন্ডসহ কোন চরেই স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকার কারনে জোয়ারের পানি অনায়াসে ঢুকে পড়ে। ফলে চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিগত ৩ দিন ধরে অবিরাম বর্ষন এবং একই সাথে সাগরে নিম্নচাপের কারনে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়ে যাবার কারনে জোয়ারের পানিতে সমগ্র এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় এলাকার কৃষকের আউশ ধানের বীজতলা ডুবে গেছে। কৃষকরা জানায়, জোয়ারের পানি নেমে গেলে বীজতলার ধানের চারার ব্যাপক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপর দিকে উপজেলার প্রমত্তা তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী উত্তাল থাকায় চরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। উন্নত নৌযান না থাকায় ছোট ছোট ট্রলার নিয়ে নদী পাড়ি দিতে কেউ সাহস পায় না বলে পানিবন্দি পরিবার গুলোর কাছে কোন ত্রান সামগ্রী পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকা এবং থেমে থেমে ভারী বর্ষনের ফলে নদীর পানিতে জোয়ারের চাপ বেড়ে যাবার ফলে চরাঞ্চল থেকে কোন বাসিন্দারাই উপজেলা সদরে আসতে পারছে না। ফলে পরিবারের ছোট বড় সকলেই অবর্ননীয় সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে দিনযাপন করছে। এদিকে জোয়ারের পানির তোড়ে ভেসে গেছে বীজতলার অধিকাংশ ধানের বীজ। বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দুশচিন্তায় পড়েছে। উপজেলায় গত মঙ্গলবার রাতে জোয়ারের পানিতে চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিচু এলাকাই এখন পানিতে ভাসছে। বন্যা পরবর্তী অতি বর্ষন ও জোয়ারের পানিতে ৫টি চরাঞ্চলের শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। গত দুইদিন ধরে জোয়ারের পানিতে বেশীর ভাগ নিচু এলাকা ডুবে গেছে। ফলে পানির মধ্যে ক্ষেতের ফসল,মৎস্য খামার,ধানের চারা সহ চাষকৃত ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। উপজেলার উপকূলবর্তী ৪টি ইউনিয়নের গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্যাপশনঃদশমিনা(পটুয়াখালী)ঃ উপজেলার উত্তর রনগোপালদী এলাকায় তীর রক্ষাবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতঘর ও ঠাকুরেরহাট বাজার জোয়ারের পানিতে ভাসছে —সংবাদদাতা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here