ঝিনাইদহ আদালতে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি!

0
211

স্টাফ রিপোর্টার, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ঃ আফসার আলী বিশ^াস। মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। অথচ ১৫ বছর পর এসে মৃত আফসার আলী বিশ^াসের নামে মামলা করেছেন এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কালীগঞ্জে। যার মামলা নং কালী-সিআর-১১০/২০২০। মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত এ বছরের জুলাই মাসের ৭ তারিখে ঝিনাইদহ আদালতে মামলাটি করেন কালীগঞ্জ উপজেলার বাদুরগাছা গ্রামের আনোয়ারা বেগম নামের এক নারী। এই মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- বাদুরগাছা গ্রামের আক্কাজ বিশ^াসের ছেলে ঠান্ডু মিয়া, মাসুম, সানদিজার বিশ^াসের ছেলে লিটন মিয়া, আফসার আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান, হায়দার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম এবং মৃত রজব আলীর ছেলে মৃত আফসার আলী বিশ^াস। ঝিনাইদহের আমলী আদালত কালীগঞ্জ সকল আসামিকে সমন জারি করেন। ধার্য তারিখে আসামিরা উপস্থিত না হওয়ায় সকল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেই ঘটনায় মামলার আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে ২০ আগস্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। রোববার দুপুরে ওই মামলার আসামিরা ঝিনাইদহ আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানিতে ৫ জন আসামি হাজির হলেও একজন আসামি উপস্থিত ছিলেন না। জনাকীর্ণ আদালতে আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামান অনুপস্থিত আসামিকে তলব করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবি ঝিনাইদহ আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ মিন্টু আদালতকে জানান গত ১৫ বছর আগে এই মামলার ৫ নং আসামি আফসার আলী বিশ^াস মারা গেছেন। শুনানিতে ঘটনার বিবরণ শুনে আদালতে উপস্থিত মামলার বাদী আনোয়ারা বেগমকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামান জিজ্ঞাসা করলে বাদীপক্ষের আইনজীবি জানান, মামলার টাইফে ভূলবশতঃ আফসার আলীর নাম লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী আনোয়ারা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি লেখাপড়া জানিনা। কি লিখেছে আমি সেটা বুঝিনি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিলন জানান, বাদীপক্ষ যে মামলা এটি আইনগত ভূল। আদালত এ বিষয়ে মৃত ব্যক্তির ব্যাপারে অবহিত না হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালত দুইভাবে অবহিত হতে পারে। একটি হচ্ছে আসামি পক্ষের মাধ্যমে অন্যটি থানার মাধ্যমে। যদি থানা তদন্ত করে আসামি মৃত পেলে এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ পাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here