নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় গত সাতদিনের অতি বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ভয়াবহ জলাদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে আমনের ক্ষেত থই থই করছে। তলিয়ে গেছে বীজতলা। পানিতে তলিয়ে থাকায় আমনের বীজতলা পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জানা যায়,অতি বর্ষণে উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পানিতে মাঠ ঘাট থই থই করছে। তলিয়ে গেছে আমনের ক্ষেতসহ বীজতলা। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় দেখা দিয়েছে উপজেলায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা না হলে বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এই ছাড়া অতি বর্ষণে কষ্টে দিনাতিপাত করছে শ্রমিক, দিন মজুর ও হতদরিদ্র মানুষগুলো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোয়ারের পানি ও অতি বৃষ্টিতে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সকল আমন ধানের ক্ষেত ও আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে আমনের ক্ষেতে চাষাবাদ প্রায় বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, আলতাব মাতুব্বারসহ আরও অনেকে বলেন, অতি বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ায় আমন চাষের আমনে খেতসহ বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। তারা আরও বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে জমি চাষাবাদ করতে পারছি না।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মোঃ ইউনুছ, নয়া মিয়াসহ আরও কয়েকজন কৃষক বলেন, পানিতে ক্ষেত তলিয়ে থাকায় আমনের ক্ষেতে বীজ বপন করতে পারছি না।
উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের জামাল সরদার বলেন, এই চরের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে কৃষকের আমনের জমি চাষাবাদ করা যাবেনা। তিনি আরও বলেন, শুধু পানি আর পানি। চারিদিকে পানিতে থই থই করছে। বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ বনি আমিন খান বলেন, গত কয়েকদিনে বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারনে নিচু স্থানের রোপনকৃত আমনের জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা কমে গেলে তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।