নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর সদরের মাহিদিয়া সম্মিলনী আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক পদে চাকরি দেয়ার নামে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন অধ্যক্ষ ফারুক হুসাইন। ভুয়া নিয়োগ পত্র প্রদানের বিষয়টি জানাজানি হলে টাকা ফেরত দিয়ে চেয়ে নানা তালবাহানা করছেন তিনি। মঙ্গলবার প্রেসকাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ঝিকরগাছা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের সোলাইমান দফাদারের ছেলে মাহবুবুর জামান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তার দুই ভগ্নিপতি শাহ আলম আহম্মেদ ও হবিবার রহমান, স্ত্রী রিমা খাতুন এবং বোন ফরিদা বেগম।
লিখিত অভিযোগে মাহবুবুর বলেন, সদর উপজেলার মাহিদিয়া সম্মিলনী আলিম মাদ্রাসায় রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে একজন প্রভাষক পদে চাকরি দেয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটি, নিয়োগ কমিটি এবং মাদ্রাসা বোর্ডকে দেয়ার জন্য ১৬ লাখ টাকা দাবি করেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফারুক হুসাইন। ৫ জন স্বাক্ষীর মোকাবেলা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর ১০ লাখ টাকা প্রদান দেয়া হয় অধ্যক্ষকে। এরপর ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল আরও ৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৭ মে বাকি ২ লাখ টাকা দেয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর মাহাবুবকে একটি নিয়োগপত্র দেন অধ্যক্ষ ফারুক হুসাইন। নিয়োগপত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে তাকে যোগদান করতে বলা হয়। ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় মাহাবুব মাদ্রাসায় যোগদান করেন। দীর্ঘদিন চাকরি করে তার পদ এমপিওভুক্ত না হওয়ায় টাকা ফেরত নিতে চান মাহবুব। ২০১৭ সালের ১৭ মে মাদ্রাসার প্যাডে অধ্যক্ষ ফারুক হুসাইন ১৬ লাখ টাকা নেয়া ও ফেরত দেয়ার ব্যাপারে একটি অঙ্গীকার নামা লিখে স্বাক্ষর করে দেন। তার পদটি এমপিও হলে এই অঙ্গীকার নামার কোন মূল্য থাকবেনা বলে চুক্তিনামায় উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আজ না কাল করে দীর্ঘ ৭ বছর ঘুরানোর পর এমপিও করতে না পারায় তিনি টাকা ফেরত চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।