স্টাফ রিপোটার,কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ঃ মাঠে চাষযোগ্য জমি বলতেই মাত্র ৯ শতক। এ জমিতে গত আবাদে শসা চাষে প্রাকৃতিক দূর্যোগে মার খেয়েছি। পরে নতুন উদ্যোম আর নতুন আশায় ধারদেনার মাধ্যমে জমিতেই বেগুনের চাষ করেছিলাম। েেত বেগুনের ধরও এসেছিল। বর্তমান দামের বাজারে কয়েক দিন পরেই বেগুন বিক্রি করা যেতো। যার মাধ্যমে ধারদেনা পরিশোধ করতে পারতাম। সংসারে আসতে স্বচ্ছলতা। কিন্তু ধরন্ত এ গাছগুলো রবিবার ভোরে কে বা কারা কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এখন কি করে সারাবছর সংসার চালাবো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের হতদরিদ্র কৃষক বাপ্পি মোল্লা। সমানে েেত বসে কাঁদছেন তার স্ত্রী গোলাপী বেগমও। আর নিরীহ মানুষটির এমন তি হওয়ায় এলাকার মানুষও তেটিতে গিয়ে তাদের সান্তনা দিচ্ছেন। তিগ্রস্থ কৃষক বাপ্পি মোল্যা উপজেলার সাইটবাড়িয়া গ্রামের আনছার মোল্যার ছেলে। রোববার সকালে বাপ্পির মোল্যার েেত সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, েেতর সব বেগুন গাছ ধারালে কিছুর মাধ্যমে মাটির সমান করে কেটে দিয়েছে। আর তিগ্রস্থ কৃষক দম্পতি ওই েেতর মাঝখানে বসে আহাজারি আর চোখের পানি ফেলছেন। এলাকাবাসী নিরীহ এই পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ওই েেতই ভীড় করছেন। তারা তিগ্রস্থ কৃষক কৃষাণীর কষ্ট আর আহাজারিতে ফিরছেন চোখের কণায় পানি নিয়ে।
কৃষক বাপ্পি মোল্লা জানান,একমাত্র এই ১০ শতকই আমার চাষযোগ্য জমি। আমি পরের েেত কামলার কাজ করে সংসার চালাই। এ বছর এনজিও থেকে ঋন তুলে জমিটিতে শসার চাষ করেছিলাম। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়েছিল। এরপর নতুন উদ্যোমে নতুন আশা নিয়ে ধারদেনার মাধ্যমে বেগুনের চাষ করেছিলাম। এবার রাতের আঁধারে কে বা কারা েেতর সমস্ত বেগুন গাছ কেটে আমার পাজর ভেঙে দিয়েছে। আমার জানা মতে, আমি কারও তি করিনি। সারাদিন মাঠে কাজ করি রাতে বাড়ি এসে ঘুমায়। আবার সকালে চলে যায় েেতর কাজে। এরপরও আমার শত্রু কারা ? আর যারা এটা করেছে তাদেরই বা কি লাভ ?। এখন কি করে সারাবছর সংসার চালাবো আর কি করেই বা এনজিওর টাকাসহ ধারদেনা পরিশোধ করবো এ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, সকালে খবর পেয়ে বাপ্পির বেগুনতে দেখতে গিয়েছিলাম। তিগ্রস্থ েেতর মধ্যে বসে বাপ্পি মোল্যাসহ তার স্ত্রী যেভাবে কান্নাকাটি করছে এতে মাঠের বাতাস ভারি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ কৃষি কর্মকর্তারা তেটি পরিদর্শন করেছেন। আর গ্রামের সব বয়সী মানুষ তো আছেই। উপজেলা উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমি বাপ্পি মোল্যার েেত গিয়েছিলাম। ধরন্ত গাছগুলো যেভাবে কেটে দিয়েছে এ তি পুশিয়ে উঠার নয়। তারপরও ওই কৃষকের পাশে থাকবে কৃষি অফিস। তিনি বলেন, একজন মানুষের বিভিন্ন দিকে কোন ভূলত্রুটি থাকতেই পারে। কিন্তু ভরা তে কেটে দেয়া এ কেমন শত্রুতা ? কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, বাপ্পি মোল্যার বেগুন তে কেটে দেয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, একজন কৃষকের ভরাতে কেটে দিলে তার যে তি হয় তা তিনি কোন ভাবেই পুশিয়ে উঠতে পারেন না। তারপরও শুনেছি বাপ্পি একজন হতদরিদ্র নিরীহ মানুষ। ফলে তার এ তিটা আরও অমানবিক। তিনি বলেন, একজন মানুষের কোন শত্রু থাকতে পারে কিন্তু ভরা েেতর গাছ কেটে দেয়া এ কেমন শত্রুতা ? পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়েছে।