নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের ঝিকরগাছার একটি বিস্ফোরক মামলার সকল আসামিদের খালাস দিয়েছে একটি আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সাক্ষীদের বক্তব্যে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার এক রায়ে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ৮ এর বিচারক আবুবকর সিদ্দিক এ আদেশ দিয়েছেন।
খালাস প্রাপ্ত আসামিরা হলো ঝিকরগাছার কুন্দিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের দুই ছলে সিরাজুল ইসলাম, আলম, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মিলন খান, রোস্তম আলীর ছেলে হাসানুজ্জামান ও মৃত মতলেব গাজীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। এ মামলার চার্জশিটে অব্যহতিপ্রাপ্ত আসামি আওরঙ্গজেব জানিয়েছেন, এ মামলা থেকে আমার দুই ভাইসহ পরিবারের ৫ সদস্য ন্যায় বিচার পেয়েছেন। ঝন্টুর করা বিস্ফোরক মামলা যে মিথ্যা ছিল তা আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে। এ মামলার কয়েক দিন আগে মারপিট ও ভাংচুরের অভিযোগে তার চাচা ঝন্টুসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর ঝন্টু মিথ্যা বোমা হামলার অভিযোগে তার চারভাইসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করে। এ মামলার আসমি হুমায়ুন কবিরকে হত্যা করা হয়। হুমায়ুন কবির হত্যা মামলায় ঝন্টু চার্জশিটভুক্ত হওয়ায় ও এ বিস্ফোরক মামলা থেকে আমরা খালাস পাওয়ায় সে চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। যে কোন সময় ঝন্টু আমিসহ পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে শংকায় আছেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কুন্দিপুর গ্রামের হাফিজুল হক ঝন্টুর সাথে আসামিদের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১৪ সালের ২১মে রাতে আসামিরা বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ঘর থেকে বের না হওয়ায় আসামিরা ঘর লক্ষ্য করে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমার শব্দে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। ২১ মে ভাংচুর, খুন জখমের হুমকি ও বোমা বিস্ফোনের অভিযোগে ৭ জনকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন হাফিজুল হক ঝন্টু। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে আলাদা চার্জশিট জমা দেন। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ায় হুমায়ুন ও তার ভাই আওরঙ্গজেব ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় অব্যহতির আবেদন করা হয়। এরমধ্যে বিস্ফোরক অংশের মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলী হয়। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে বোমা হামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে।