উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ঃ নড়াইলের মুলিয়ায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মানববন্ধন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় শহরের উৎসব সকমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য
রাখেন নজরুল ইসলাম মোল্যা, খান মোহাম্মদ কবির হোসেন, আব্দুর রশিদ মুন্নু। উপস্থিত ছিলেন তোফায়েল শিকদার ও গনেশ বিশ্বাস। সংবাদ সম্মেলনে দণি নড়াইলের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে রিজভীর সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদে রুপগঞ্জ এলাকার লিটন দত্ত ১১লাখ টাকা ধার নেয়।লিটন দত্ত সময়মত টাকা পরিশোধ না করায় বারবার লিটন দত্তকে তাগাদা দিলে তার স্ত্রী সঞ্চিতা ও লালু কিছুদিন অপো করতে অনুরোধ করেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর লিটন দত্ত তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।এক পর্যায়ে লালু স্বেচ্ছায় উক্ত টাকা পরিশোধের জন্য রিজভীকে একটি চেক দেয়।উক্ত টাকা আদায়ের জন্য রিজভী মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর নিকট ঘটনা জানায় এবং চেক হস্তান্তর করে বিচারের প্রার্থনা করে। অথচ লালু প্রচার করছে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক চেক নেয়া হয়েছে। এমনকি থানায় অভিযোগ দিয়ে টাকা না দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শুধু তাই নয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলে মুলিয়া বাজারে গত শুক্রবার মানববন্ধন করে।এ ব্যাপারে নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা জেলা বঙ্গবন্ধু শিা ও গবেষণা পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক স্কুল শিক কল্যান বিশ্বাস লালুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে নড়াইল পৌরসভার দণি নড়াইল এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মোল্যা, তার ছেলে রিজভী, সহযোগি সাধন বিশ্বাস, শামীমসহ ৯/১০জন সন্ত্রাসী মুলিয়া খেলার মাঠের উত্তর-পূর্ব পাশে তার পথরোধ করে ঘিরে ফেলে।সন্ত্রাসীরা আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত ও লাঞ্চিত করে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাকে আমার বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে বেতনের চেক বইয়ের একটি পাতায় ১১ লাখ টাকা লেখিয়ে জোরপূর্বক স্বার করে নিয়ে যায়।এ সময় তারা বলে বিষয়টি জানাজানি করা হলে তোকে হত্যা করে চিত্রা নদীতে ফেলে দেয়া হবে।বিষয়টি আমি ততনাৎ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করি।এ ব্যাপারে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।ওই ঘটনার পর থেকে আমি আমার জীবন নাশের হুমকি নিয়ে চলাফেরা করছি।