আশাশুনির পল্লীতে একই দিনে দু’স্থানে দু’শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

0
246

প্রভাষক শাহাদাৎ হোসেন টিটল, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ আশাশুনির পল্লীতে মোবাইলে ছবি দেখানোর নাম করে ৭বছর বয়সী এক শিশুকে ১৮ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নাসিমাবাদ গ্রামে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মাতা মাসুরা পারভীন বাদী হয়ে ওই গ্রামের পারুল বিবির পুত্র তরিকুলের নামে আশাশুনি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ ও ভিকটিমের মাতা জানান, তরিকুল আমার ফুফু শ্বাশুড়ির ছেলে। আমার ঘরের পাশেই তাদের ঘর। সোমবার দুপুরে তরিকুল মোবাইলে ছবি দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে আমার ৭ বছর বয়সী শিশু মেয়েকে তার ঘরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়ের ডাক-চিৎকার শুনে তরিকুলের ঘরের মধ্যে গেলে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় মেয়েটি বিবস্ত্র অবস্থায় কান্না-কাটি করছিল। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ওই রাতেই আমি মেয়েটির চিকিৎসার জন্য আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে আসি। এ ঘটনায়, ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে নরপিশাচ তরিকুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০৮(১০)২০ নং ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা সূত্রে জানাগেছে, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং নরপশু তরিকুল পালাতক রয়েছে।
অপরদিকে, একই দিনে আশাশুনি সদরের আদালতপুরে ৫০ বছরের এক নারী লোভী নরপশু কর্তৃক ৩য় শ্রেনী পড়–য়া এক শিশুকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে থানায় আরও একটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বাদী আদালতপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ফারুক মোল্যার স্ত্রী শরিফা খাতুন কর্তক থানায় লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, সোমবার দিন সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্থে দুর্গাপুর প্রাথমিকের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী পাশের বাড়ীর শিশুদের সাথে লুকোচুরি খেলছিল। এসময় পাশের বাড়ীর মৃত. কাশেম গাজীর লম্পট পুত্র ইসলাম গাজী অন্য শিশুদের হাত ধরে টানাটানি করে বিফলে যেয়ে তাদের বাড়ীতে যেতে বলে ভিকটিম শিশুটিকে নিয়ে লম্পট ইসলাম বাড়ীতে কেহ না থাকার সুযোগে রান্নাঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করার এক পর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার দিলে লম্পট ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় ভিকটিমের মাতা শরিফা খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০৬ (১০)২০ নং পৃথক আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নরপশু ইসলাম পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। দু’ঘটনায় দু’ধর্ষককে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যহত আছে বলে থানা অফিসার ইনচার্জ মু. গোলাম কবির জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here