চুকনগরে নবজাতকের মৃত্যুতে কিনিক কর্তৃপরে বিরুদ্ধে মামলা

0
223

গাজী আব্দুল কুদ্দুস চুকনগর ॥ ডুমুরিয়ার আলোচিত সেই হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম’র মালিকসহ ৭/৮ জনের নামে আবারও মামলা হয়েছে থানায়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর যশোরের কেশবপুর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের হেলাল উদ্দিন গাজী তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমকে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে ‘হালিমা মেমোরিয়াল নাসিং হোম’ নামের একটি প্রাইভেট কিনিকে নিয়ে আসেন।
কিনিক কর্তৃপ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে বলেন, মা ও অনাগত সন্তান সুস্থ আছে। তবে জরুরিভাবে সিজার না করলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। এ অবস্থায়, হেলালকে কিছু ওষুধ আনতে বাইরে পাঠিয়ে নাসিমাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে কিনিক কর্তৃপ অপারেশন থিয়েটার থেকে নবজাতককে বের করে এনে বলে বাচ্চার অবস্থা খারাপ দ্রুত খুলনায় নিতে হবে। তখন দেখা যায় একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয়েছে, কিন্তু ভুল অপারেশনের ফলে তার পেট কেটে নাড়িভুড়ি বেরিয়ে এসেছে। বাচ্চাটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খুলনা থেকে ফিরে এসে কিনিক কর্তৃপরে নিকট বাচ্চা মারা যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কিনিক মালিক কামাল হোসেন ও তার সহযোগীরা হেলালের ওপর চড়াও হয়। তারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি ধামকি দিয়ে কিনিক থেকে বের করে দেয়। এব্যাপারে হেলাল উদ্দিন গত ১ অক্টোবর ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে ২ অক্টোবর ডুমুরিয়া থানার এস আই হাফিজুর রহমান তদন্তে আসেন। তদন্তের প্রেেিত মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কিনিক মালিক কামাল হোসেন বলেন, ডা. বরকত আলী অপারেশনটি করেছেন। সিজারের পরে বাচ্চাটিকে ওই অবস্থাতেই বের করা হয়েছে। ভূমিষ্ট হওয়ার সময় সে জীবিত ছিল। এ কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে খুলনায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে, তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here