আমন মৌসুমে বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়ায় হতাশ চাষিরা পাতা পোড়া পচন রোগ ধান গাছে

0
278

বসুন্দিয়া প্রতিনিধি ঃ বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া এলাকায় আমন ধান ক্ষেতে পাতা পোড়া পচন রোগ দেখা দেওয়াতে কৃষকরা চরম হতাশার মধ্যে পড়েছে।চলতি আমন ধানের ভাল ফলন না হওয়ার আশ্খংায় রয়েছ। কৃষিবিদদের ধারনা আবহা জল বায়ু প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে ভাইরাস জাতীয় একটি রোগ। বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের আদমপুর, তেঘরী, ভিটাবল্যা, বাররা, নিত্যান্দপুর, বারভাগ, আলাদীপুর,বাসুয়াড়ীর ও বসুন্দিয়া এলাকার গাইদগাছি, খোলাডাঙ্গা, জয়ান্তার মাঠ ঘুরে সরোজমিনে দেখা গেছে,বাঘারপাড়ার মাঠ গুলোতে বেশী দেখা দিয়েছে এ জাতীয় ধানের ভাইরাস জাতীয় পচন রোগ। অধিকাংশ ধান ক্ষেতে গাছের পাতা শুকানো সহ গোড়া পচনের রোগে আক্রান্ত। আমন ধানের ফলন বিপর্যয়ের মূখে রয়েছে বলে চাষিরা জানান। ছত্রাকনাশক ও পচন রোগের জন্য বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ স্প্রে প্রয়োগ করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ভিটাবল্যা তেঘরীর এলাকার ক্ষতি গ্রস্ত চাষি মোঃ মিজানুর রহমান,মোঃ হাফিজুর রহমান,মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ছরোয়ার রহমান, মোঃ লালটু, মোঃ লাল মিয়া খন্দকার, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ অলী আহম্মদ মোঃ রফিক হোসেন জানান, গত বছর অল্প কিছু জমিেেত রোগ দেখা দিয়ে ছিল। এ বছর পাতা শুকানো ও গোড়া পচা রোগটি বেশী দেখা দিয়েছে। তবে নতুন জাতের ধান চাষ করেছে যে সমমÍ চাষিরা তাদেও ক্ষেতে এ ধরনের সমস্যা হয়নি।বেশী দেখা দিয়েছে গুটি স্বর্না নামের ধান জাতের, ধানটির ভাল ফলন হওয়াতে চাষিরা ৭/৮ বছর ধরে প্রতি বছর আমনে চাষ করে আসছে। কৃষি কর্মকর্তারা ভিন্নমত প্রকাশ করছেন যে একই জমিতে এক জাতের ধান বারবার চাষ করলে ভাইরাস জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকে। তারপর অতিরিক্ত পরিমানে ইউরিয়া সার সহ জৈব সার প্রয়োজনের তুলনায় বেশী হলে ধান গাছের পাতা পুড়ে যেতে পারে গাছ দুর্বল হয়ে পচন দেখা দিতে পারে। এ রোগে ধানের ফলন অনেকটা কম হয় আবার অনেক জমিতে মোটেই ফলন ভাল হয় না। বাঘারপাড়া ্্উপজেলা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাবু বিজন কুমার ও বাবু কললোল কুমার এ প্রতিবেদককে বরেন, অতিমাত্রা বৃষ্টি , মাত্রারিক্ত জৈব ও ইউরিয়া প্রয়োগে ধান গাছের পাতা পুড়ে যায়। জলবাযু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ,বিপর্যয়ের কারনে ধানের জাত পাল্টাতে পরামর্শ দেওয়া হয় কৃষকদের। পাতা পুড়া পচন রোগ দেখা দিলে ছত্রাক নাশক জাতীয় ওষুধ অথবা পটাশ ও থিয়োভিট দিনের শেষে বিকালে স্প্রে প্রয়োগ করতে হবে এক সপ্তাহ, তাতে সমস্যার সমাধান হতে পারে। যশোর সদর উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাবু রবিন কুমার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বসুন্দিয়া এলাকায় পাতা পুড়া ও পচন রোগ একটু কম কারন এখানে চাষিরা নতুন নতুন জাতের ধান চাষ করছে। রোগ বালাই অনেকটা কম নতুন ধানের ফলনও ভাল হয়। প্রতি বছর একটার পর একটা সমস্যা রয়ে যাচ্ছে কৃষকের, ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন ভেঙ্গে লোকসানের ঘানি টানতে হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here