যশোরে ৫ বছরের সন্তানকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

0
281

স্টাফ রিপোর্টার : আল আমিন নামে ৫ বছরের এক শিশুকে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষন্ড বাবা। সে এখন যশোর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বাকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই গ্রামের দাউদ হায়দারের ছেলে হলেও শিশুটি নানী সাকিরন নেছার কাছে থাকে।
শিশু আল-আমিনের নানী সাকিরন নেছা জানান, তিনি অত্যন্ত অভাবী মানুষ। যে কারণে দাউদ সরদারের বাড়িতে কাজ করতেন। কাজ করার সুবাদে তার কিশোরী কন্যা যাওয়া-আসা ছিল দাউদ সরদারের বাড়িতে। এ সুযোগে দাউদ সরদার তার কিশোরী কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে করে তার কিশোরী কন্যা গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সাকিরন নেছা বাদি হয়ে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্রুনালে মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ২২৩১৭, তারিখ: ২০.১০.২০১৫। বর্তমানে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্রুনাল-২ তে বিচারাধীন আছে। ঐ সময় গর্ভের বাচ্চার ডিএনএ পরীার জন্য আবেদন করলে আদালত ডিএনএ পরীার জন্য পাঠায় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভের সন্তান দাউদ সরদারের বলে প্রমাণিত হয়। তখন আদালত তাকে আটকের নির্দেশ দিলে তিনি ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হয়। বিয়ের শর্তে আদালত তাকে আটক করেনি। আদালতের নির্দেশে বিয়ে করলেও ঐ বাচ্চা ও স্ত্রীকে স্বীকৃতি দেয়নি দাউদ সরদার। ফলে ঐ মেয়ে বাপের বাড়িত বসবাস করতে থাকে। সাকিরন নেছা আরো জানান, দাউদ সরদারের বয়স ৬৫ বছর। ছেলে-মেয়েরা অনেক বড়, উচ্চ শিতি ও বিভিন্ন জায়গায় চাকুরি করেন। ৫ বছরের ছোট বাচ্চা যখন তাকে আব্বা-আব্বা করে ডাকেন, তখন তাদের সম্মানে বাঁধে। যে কারণে এই বাচ্চাটাকে তারা মেরে ফেলতে চেয়েছে। তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বুধবার রাত ১ টার দিকে শিশু আল-আমিনের শরীরে আগুন দেয় দাউদ সরদার ও তার পরিবারের লোকজন। এসময় আল-আমিনের চিৎকারে সবাই চলে আসে এবং বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে। পরে তার নানী সকিরন নেছা যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ফলে তাকে ঢাকায় স্থানন্তর করা হচ্ছে বলে সাকিরন নেছা জানিয়েছেন।
অগ্নিদগ্ধের পিতা দাউদ সরদার জানান, এ ঘটনা মিমাংসার জন্যে তামান্নার মা সাকিরনকে ১২ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। ওই সন্তানের সকল খরচ বহন করার দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রতিমাসে সন্তানের ভরণ পোষণের জন্যে খরচ দেন। সাকিরন তার কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করছে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আল-আমিনকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। একই ঘরে সাকিরন ও আল-আমিন ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু আল-আমিন অগ্নিদগ্ধ হলেও সাকিরনের কিছু হয়নি। এটি বিশ্বাস করবার মতো নয়। মূলত তার কাছ থেকে নতুন করে টাকা আদায় করতে নতুন নাটক সাজিয়েছে সাকিরন। এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত জানিয়েছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here