বিশেষ প্রতিনিধি : আসন্ন মাগুরা পৌর নির্বাচনে বিমান বাহিনীর সাবেক স্কোয়াড্রন লিডার পাইলট রফিকুল ইসলাম কামালকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চান মাগুরাবাসী। তারা মনে করেন গ্রীন মাগুরা, কিন মাগুরার স্বপ্ন দ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক নিরাপত্তা ইউনিটের (এসএসএফ’র) ডেপুটি ডাইরেক্টর পাইলট রফিকুল ইসলাম কামালকে মাগুরা পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী করা হলে তার বিজয় সুনিশ্চিত। কিন ইমেজের পাইলট কামাল ইতিমধ্যে আওয়ামী রাজনীতিতে নিজের স্বকীয়তার প্রমান রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্শিবাদপুষ্ঠ রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তরুণ এই রাজনীতিক মাগুরার আওয়ামীলী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর আলহাজ¦ গোলাম মওলা মোল্যার জৈষ্ঠ পুত্র। আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে করে পাইলট রফিকুল ইসলাম কামাল গোটা পৌর এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন। আলাপ চারিতায় তরুণ এই রাজনীতিক বলেন, আমার পিতা আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে মাগুরাবাসীর কল্যাণে কাজ করে গেছেন। কিন্তু গত কয়েক বছর শারিরিক ভাবে অসুস্থতার কারনে তিনি এখন আর আগের মতো রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারছেন না। তাই পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রীন মাগুরা, কিন মাগুরা গড়ার আতœ প্রত্যয় নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছি। আমি একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার রক্ত মাংশে রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দৃড় প্রত্যয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্শিবাদ নিয়ে আমি রাজনীতির মাঠের একজন কর্মী হতে চাই। নিজেকে মাগুরাবাসীর কল্যানে বিলিয়ে দিতে চাই। যেমন বিলিয়ে দিয়েছিলেন মাগুরার জনমানুষের প্রাণের স্পন্দন এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান । তার যোগ্য উত্তরসূরী মাগুরা সদর আসনের এমপি সাইফুজ্জামান শেখর যেমন মাগুরাবাসীর কল্যানে নিজেকে আতœনিয়োগ করেছেন তেমনি তার পাশে থেকে আমিও শেখ হাসিনার একজন সৈনিক হিসেবে মাগুরা পৌরবাসীর কাঙ্খিত চাহিদা গুলো পূরণ করতে চাই। আর এই কারনেই আগামী পৌর নির্বাচনে আমি মাগুরা পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। রফিকুল ইসলাম কামাল ১৯৮০ সালের ২০ ডিসেম্বর মাগুরা মোল্যাপাড়ার এক স¤্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ্ব গোলাম মওলা মোল্যা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তার মাতা আখেরা খানম মাগুরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভানেত্রী।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বপরিবারে শাহাদৎ বরণ করেছিলেন, তখন বাংলাদেশের যে কয়টি স্থানে বিদ্রোহ হয়েছিল মাগুরা তার মধ্যে অন্যতম। বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে তৎকালীন মাগুরা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক গোলাম মাওলা মোল্যা মাগুরা থানা অস্ত্রাগার ভেঙে মাগুরাতে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এরপর জিয়াউর রহমানের সময়ে গোলাম মওলা মোল্যা অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন । জেল-জুলুম হুলিয়া উপো করে মাগুরা মোল্যাপাড়া, খানপাড়া ও তাতিপাড়া এলাকাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলেন; যা আজও অব্যাহত রয়েছে। রফিকুল ইসলাম কামালের পিতা গোলাম মওলা মোল্যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তানদের নামের সাথে মিল রেখে নিজের দুই পুত্র সন্তানের নাম রাখেন “কামাল” ও “রাসেল”। ১৯৯৫ সাথে মাগুরার কৃতি সন্তান সংসদ সদস্য এ্যাড. আসাদুজ্জামানের মৃত্যুতে শাখিলা মোহাম্মদপুর আসনটি শুন্য হয়। ওই আসনের উপ নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি সরকার ভোট ডাকাতির সরকার হিসেবে বিশ^ দরবারে পরিচিতি লাভ করে। মাগুরা উপ নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি বিরোধী আন্দোলনে গোলাম মওলা মোল্যা দলের অন্যান্য নেতাদের সাথে নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। ২০০২ সালে বিএনপি জোট সরকারের আমলে এক দলীয় জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার জন্য আওয়ামীলীগ সভাপনেত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা মাগুরায় আসেন । কিন্তু তৎকালীন সরকারের নির্দেশে পুলিশ নোমানী ময়দানে শেখ হাসিনার সমাবেশ করতে বাধা দেয়, তখন গোলাম মওলা মোল্যার নেতৃত্বে মাগুরা পিটিআই মাঠে শেখ হাসিনা সফলভাবে তার সমাবেশ শেষ করেন।
রফিকুল ইসলাম কামালের পরিবারে রয়েছে বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী রাজনৈতিক ইতিহাস । বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এবং বিরোধী দলে থাকাকালিন সময়ে তার পরিবারের সদস্যরা সকল আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কামালের ছোট চাচা আওয়াল হোসেন মোল্যা মাগুরা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ন আহবায়ক ও আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তার আরেক চাচা আলহাজ্ব আকরাম হোসেন মোল্যা মাগুরা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ ১৩ বছর দায়িত্ব পালন করেন। কামালের চাচাতো ভাই নাজমুল হাসান জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার ফুপাতো ভাই মকবুল হাসান মাকুল জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাগুরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রফিকুল ইসলাম কামাল ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সত্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে ১৯৯৫ সালে মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কিশোর কমান্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই অত্যন্ত মেধাবী কামাল প্রত্যেক শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করতেন। অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত, এসএসসিতে ১৯৯৬ সালে মাগুরা জেলার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত এবং সে বছর মাগুরা থেকে একমাত্র ছাত্র হিসেবে ঢাকা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৯৮ সালে এইচএসসি পরীা শেষে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এবং তিনি ২০০০ সালে জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন হেলিকপ্টার পাইলট। কর্মজীবনে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরা মিশনসহ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এস এস এফ) এর ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ইউনিটের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ইউনিটের (এসএসএফ) ডেপুটি পরিচালক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেন। স্কোয়াড্রন লিডার (মেজর পদমর্যাদা) হিসেবে চাকরি জীবন শেষে কামাল একটি বেসরকারি কোম্পানিতে হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু যার রক্তে রাজনীতি তিনি কি রাজনীতির মাঠ ছেড়ে চাকুরি জীবনে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তাইতো লোভনীয় সব অফার ত্যাগ করে কামল ছুটে এসেছেন মাটি মাটি আর মানুষের কাছে। তার স্বপ্নের শহর মাগুরাতে। তিনি চান মাগুরাকে একটি আধুনিক রোল মডেল শহর হিসেবে গড়ে তুলতে। তাই দলের প্রবীণ আর নবীনদের সংমিশ্রনে তিনি একটি পরিচ্ছন্ন রাজতৈকি ইউনিট তৈরী করে মাগুরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির শহরে পরিণত করতে চান। তরুণ প্রজন্মের এই রাজনীতিক মাগুরাকে দেশের মধ্যে একটি রোল মডেল শহরে পরিণত করতেই আগামী নির্বাচনে তিনি পৌর মেয়রের পদে নৌকার প্রার্থী হিসেবে লড়তে চান। তিনি মনে করেন মা, মাটি ও মানুষের জন্য কিছু করতে হলে রাজনীতির কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু রাজনীতির মানুষ ছিলেন বলেই ফাঁসি মঞ্চ্যে দাঁড়িয়েও তিনি বজ্র কন্ঠে দেশের মানুষের মুক্তি কথা বলেছেন। স্বাধীনতার কথা বলেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করে ছেড়েছেন। শুধু তাই নয় বাঙালীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে তিনি জীবন পর্যন্ত উৎস্বর্গ করেছেন। গোটা পরিবারকে তিনি দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন তবুও বিশ^ দরবারে বাংলাদেশকে খাটো করেননি। বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ যার ধমনীতে প্রবাহমান তিনিই মাগুরা শহরকে একটি আধুরিক ডিজিটাল পৌর শহরে পরিণষত করার স্বপ্ন দেখতেই পারেন বলেই মনে করেন মাগুরা পৌরবাসী। তাই আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মাগুরা পৌর সভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে নৌকার মাঝি হিসেবে স্কোয়াড্রন লিঢার পাইলট কামলাকে দেখতে চান পৌরবাসী।
এই প্রসঙ্গে পাইলট রফিকুল ইসলাম কামাল বলেন, মাগুরা তৃনমূল আওয়ামী লীগের প্রবাদ পুরুষ ও শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত অনুচর গোলাম মওলা মোল্যা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার স্বপ্ন পূরণে “গ্রীন মাগুরা কিন মাগুরা” গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মাগুরা পৌরসভাকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশ বান্ধব ও পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েই আসন্ন মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর সেনা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক স্কোয়াড্রন লিডার পাইলট রফিকুল ইসলাম কামাল মাগুরাবাসীর দোয়া এবং সমর্থন চান।