এক বছরেও দখলমুক্ত হয়নি লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের জমি

0
291

লোহাগড়া(পৌর)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ার মোচড়া গ্রামের সেই সরকারি খাস জমি আজো দখল মুক্ত হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান অন্যসব কাজে ব্যস্ত থাকায় দীর্ঘ এক বছর পর চেয়ারম্যানের টেবিলে উচ্ছেদ সংক্রান্ত ফাইলটি পৌঁছালেও মূল উচ্ছেদ কার্যক্রমে বিলম্ব হচ্ছে। ওই জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারের সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৭ আগষ্ট। অভিযোগ রয়েছে, ওই জমির প্রকৃত মালিক লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ। উচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জেলা প্রশাসক, লোহাগড়ার ইউএনও, এ্যাসিল্যান্ড ও লোহাগড়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার টেবিলে বারবার ঘুরে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের টেবিলে আসতে এক বছর পার হয়েছে। অবশ্য অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রশাসক, লোহাগড়ার ইউএনও, এ্যাসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার সদিচ্ছা থাকা সত্বেও এ্যাসিল্যান্ড অফিসের কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর অপতৎপরতায় উচ্ছেদ সংক্রান্ত ফাইলটি নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) বিষয়টি অবগত। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের সদিচ্ছায় পুনরায় অভিযোগ ফাইলটি পুনরুজীবিত করা হয়। অবশেষে এক বছর পর উচ্ছেদ সংক্রান্ত নথিটি লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের টেবিলে পৌঁছালেও চেয়ারম্যানের কালক্ষেপনের ফলে মূল উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। সূত্র জানায়, গত ৩১ আগষ্ট লোহাগড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)স্বাক্ষরিত (স্মারক নং- ০৫.৪৪.৬৫২৮.০৮.০০২.২০-৫৩২) পত্রে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নিমিত্ত নোটিশ প্রদান পূর্বক জারীকৃত কপি তাঁর দপ্তরে প্রেরণের জন্য লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলা হয়। কিন্তু দেড় মাস অতিবাহিত হলেও ফাইলটি চেয়ারম্যানের টেবিলে বেকার পড়ে আছে। ২০১৯ সালের ২৭ আগষ্ট নড়াইলের ডিসির কাছে লোহাগড়া উপজেলার ৮৭ নং মাইটকুমড়া মৌজার ৪ নং খতিয়ানের ২২ নং দাগের সরকারি খাসজমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্যে আবেদন করেন লোহাগড়া কলেজপাড়ার মৃত আবু মিয়ার ছেলে শাহ ফয়সাল আলম। ডকেট নং- ১৫৫৯। লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম সিকদার এ বিষয়ে বলেন, আমি সঠিকভাবে ওই জমির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত না। এ্যাসিল্যান্ড অফিস ম্যাপ দেখে আমাকে ওই জমির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করলে আমি পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাখী ব্যানার্জী বলেন, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে শুধু অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান পূর্বক অত্র অফিসে তার কপি প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। বিধিমোতাবেক বাকি কাজ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here