৪ লক্ষ টাকা ৭ ভরী সর্ণসহ প্রবাসী স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রলীগ নেতা 

0
268
নিজস্ব প্রতিবেদক :  পরকীয়া প্রেমে ফরিদপুরের প্রবাসীর স্ত্রী যশোরের ছাত্রলীগ নেতার ঘরে!  অন্য দিকে সেই প্রবাসীকে ছাত্রলীগ নেতার হুমকি ও নিশ্ব প্রবাসী,  সব হারিয়ে এখন দিশেহারা।
ফরিদপুর জেলার নিরীহ প্রবাসী মিজানুর রহমানের পাঠানো চার লক্ষ টাকা ও সাত ভরী সর্ণাংকার নিয়ে ১ সন্তানের  জননী সৈয়দা সুমাইয়া মৌ যশোরের চৌগাছা উপজেলার দিঘল সিংহা গ্রামের আসলাম সরদারের ছেলে জিহাদ সরদারের সাথে পালিয়ে যায়। প্রবাসী মিজানুর রহমান  থানায় লিখিত অভিযোগ  করলে  জিহাদ সরদার প্রবাসী মিজানুর  রহমান কে বিভিন্নভাবে হুমকিধামকি দেয়।  এসময় জিহাদ  সরদার  ছাত্রলীগের  নাম ও পদবি নিয়ে  হুমকি দেয় এবং জোর গলায় বলেন,  যশোরের ভেতর  এমন কেউ জন্মায়নি যে আমাকে কিছুই করতে পারে।  যশোরের মধ্যে  আমিই সব! একই সাথে  নিজেকে অনেক বড় নেতা বলেও জাহির করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন  সময়ে  জিহাদ  সরদারের বাবা প্রবাসী মিজানুর রহমানের কাছ থেকে তার স্ত্রী কে ফিরে দেওয়ার নাম করে একাধিকবার টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রবাসী  জিহাদ। জিহাদের বাবা কে কয়েক দফায় দেওয়া ১৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে আসলাম সরদার প্রবাসী মিজানুর রহমান কে টাকা ফেরত দিবেনা বলে  হুমকিধামকি দিয়ে বলেন, ফরিদপুর তো আর বাংলাদেশের বাইরে না! টাকা, সম্পদ ও স্ত্রী হারিয়ে উল্টো মিজানুর রহমান প্রাণনাশের আশংকায় আছেন বলে জানান।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলা জাহাজপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক শেখ এর ছেলে মিজানুর  রহমান এর সাথে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার মানিক নগর গ্রামের  মৃত মোবারেক মীরের মেয়ের সাথে বিগত  ৬ বছর পূর্বে বিবাহ হয়।  এবং একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বিবাহের দুই বছর পরে মিজানুর রহমান জীবিকা নির্বাহের জন্য মালেশিয়া পাড়ি জমান। এবং প্রতি বছরই তিনি বাড়িতে যাতায়াত করেন। তবে গত মাসের ৫ ই আগষ্ট সুমাইয়া  আক্তার মৌ তার বোন মলি বেগম বেড়াতে নিয়ে যায়। কিন্তু ২০ ই আগষ্ট তার বোন  মিজানুর রহমানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক কে জানান,  সুমাইয়া আক্তার মৌ যশোরের চৌগাছা উপজেলার দিঘল সিংহা গ্রামের আসলাম সরদারের ছেলে জিহাদ সরদারের সাথে  পালিয়ে গেছে। উক্ত ঘটনায় মধুখালি থানায় আব্দুর রাজ্জাক ও নগরকান্দা থানায় সুমাইয়া আক্তার মৌ এর মা আলাদা আলাদা সাধারণ ডায়েরি করেন।   পরে ৮ সেপ্টেম্বর সুমাইয়া আক্তার মৌ মিজানুর রহমান কে ডিবর্স দেন। এরপর নগরকান্দা থানা পুলিশের মাধ্যমে ১২ সেপ্টেম্বর শালিসি মিমাংসা করে পুনরায় আমার ছেলের সাথে বিবাহ হয়।  এরপর ২১ সেপ্টেম্বর আবারও আমাদের সকলের অগচরে সুমাইয়া আক্তার মৌ জিহাদের সাথে  চলিয়া যায়। তারপর থেকে জিহাদ সরদার,  তার পিতা আসলাম সরদার ও সুমাইয়া আক্তার মৌ এর বোন মলি বেগম আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকিধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ফলে চরম নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছেন মিজানুর রহমান ও তার পরিবার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here