কাগজ সংবাদ : খুলনা জেলা দলের অধিনায়ক ও খুলনা তরুণ একাডেমির কোচ কাজী রিয়াজুল ইসলাম কাজল নিহতের ঘটনায় স্ত্রী সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে রুজু হওয়া মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পিবিআইকে। মঙ্গলবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন কোতোয়ালি থানার রিপোর্ট পেয়ে বিষয়টি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এরআগে কোতোয়ালী থানার এসআই ওয়াহিদুজ্জামান এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমাদেন। তিনি আদালতকে জানান, এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় কোনো মামলা হয়নি। এছাড়া তিনি কাজলের শ্বশুড় বাড়িতে গিয়েছেন এবং ওই এলাকার আশপাশের মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, কাগল গত ২৮ মে বাড়ান্দিপাড়ার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। সেখানে অবস্থান কালে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পরেন। এরপর তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ভোর ৪টা ৫ মিনিটে ডাক্তার জানান হাসপাতালে আনার আগেই কাজলের মৃত্যু হয়। পরে তার খুলনায় দাফন করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা নিহতের স্বজনেরা কোতোয়ালী থানাকে অবহিত করেনি ও এ সংক্রান্ত কোনো মামলা কোতোয়ালি থানায় হয়নি।
এরআগে গত গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের মা খুলনা খালিশপুর চরের হাট এলাকার মৃত কাজী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় নিহতের স্ত্রী বারান্দীপাড়া ফুলতলা এলাকার আমজাদ হোসেনের মেয়ে আফরিনা আক্তার সুমি, খুলনা খালিশপুর হালদারপাড়ার কানা সামসুর ছেলে জাহিদুল ইসলাম সবুজ, নিহতের শ্বাশুড়ি মায়া বেগম, বারান্দীপাড়ার মনির ড্রাইভারের মেয়েমণি বেগম ও শ্বশুর আমজাদ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন এ সংক্রান্ত কোনো মামলা কোতোয়ালি থানায় রুজু হয়েছে কিনা এ বিষয়ে থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। একই আদালত মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।