লোহাগড়ায় মহিলা শ্রমিকদের সাথে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা

0
223

লোহাগড়া(পৌর)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে কর্মরত কয়েকজন মহিলা শ্রমিকের সাথে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা করেছে একদল প্রতারক। অভিযোগে জানা গেছে, কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামীণ রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ (আর,এম,পি) কর্মসূচীর অধীনে ১০ জন দরিদ্র মহিলা শ্রমিক কাজ করেন। যাদের নিয়োগ দিয়েছেন লটারীর মাধ্যমে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সপ্তাহে ৬দিন কাজ করেন তারা। মহিলা শ্রমিক মালেকা বেগম, নাসিমা বেগম, নাসরিন বেগম, শাহানারা বেগম অভিযোগ করেন তেলকাড়া গ্রামের আলম চৌধুরীর ছেলে মাসুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অপরিচিতি তিনজন ব্যাক্তি তাদের বাড়ি গিয়ে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাদের চাকুরীর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অহেতুক হয়রানিমূলক প্রশ্ন করে উত্যক্ত করেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা নারী শ্রমিকদেরকে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেন। মালেকা বেগমসহ অন্যরা আরো অভিযোগ করেন, পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা আমাদের হুমকি দেয় যে, আমরা যা বলবো তা যদি ক্যামেরার সামনে না বলো তবে চাকরী থাকবে না। চাকরী বাঁচাতে নারী শ্রমিকরা ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারীদের কাছে মিথ্যা তথ্যের স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হন। কোটাকোল ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ নজরুল ইসলাম খোকন অভিযোগ করেন, ইউএনও স্যার লটারীর মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র নারীদের গ্রামীণ রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চাকরী দিয়েছেন। নারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ প্রয়োগ করে মিথ্যা বক্তব্যের তথ্য ভিডিও করেছে মাসুদের নেতৃত্বে কয়েকজনে। ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর হাসিয়া বেগম অভিযোগ করেন, মাসুদ চৌধুরী আমাকেও নানা হুমকি দিয়েছে। তারা ডিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে মহিলাদের হুমকি দিয়েছে। মেম্বর নজরুল ইসলাম খোকন ও হাসিয়া বেগমসহ অন্যরা আরো অভিযোগ করেন, মাসুদ চৌধুরীর স্ত্রী ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর মোসাঃ শরিফা বেগম। ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাজে মোসাঃ শরিফা বেগম আসেন না। কিন্তু মাসুদ চৌধুরী স্ত্রীকে অনুপস্থিত রেখে নিজে এসে সরকারি বরাদ্দের চাল, টাকা বা অনুদান অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভাগবাটোয়ারা করে নেবার চেষ্টা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার অনিয়মতান্ত্রিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যানসহ পরিষদের অন্যদের নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। কোটকোল ইউপি চেয়ারম্যান মারিয়া হোসেন বলেন, সরকারি নিয়মে মহিলা মেম্বর তার বরাদ্দ বুঝে নেবেন। কিন্তু মাসুদ চৌধুরী নিজে স্ত্রীকে অনুপস্থিত রেখে সরকারি বরাদ্দ নিজের ইচ্ছামতো ভাগবাটোয়ারা করে নিতে চান। আমরা আইন বিরোধী কাজে তাকে সহযোগিতা না করায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সহজ-সরল নারী শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবা। অভিযুক্ত মাসুদ চৌধুরী নারী সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় আসামী হয়ে পলাতক থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here