দশমিনায় ৫’শত বছরের পুরাতন মসজিদ অযতœ ও অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে

0
259

নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামে চোঁখ ধাধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনের একটি পুরাতন মসজিদের হদিস পাওয়া গেছে। এই রকম একটি পুরাকীর্তির নিদর্শনের মসজিদ থাকলেও তার প্রচার না থাকায় কেউ কোনদিন খবর নেয়নি। উপজেলার দক্ষিন আদমপুর গ্রামের মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতির অপুর্ব নিদর্শন। প্রাচীন এই মুসলিম স্থাপত্যের চোঁখ ধাধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনটি ৫’শত বছর আগে নির্মান করা হয়ে ছিল বলে ধারনা করা হয়। তবে এলাকার অনেকেই এই মসজিদটি ৫’শত বছরের বেশী পুরাতন বলে মনে করছে।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সি বাড়িতে মুন্সি আমিরুল্লাহ এই মসজিদটি নির্মান করেছিলেন। ৫’শত বছরের পুরনো মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতি এবং প্রত্বতত্ত্ব স্থাপত্য শিল্পের এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে মাথা উচু করে স্বগৌরবে দাড়িয়ে রয়েছে। মুন্সি আমিরুল্লাহর সপ্তম বংশধরদের আর্থিক দৈন্যতার কারনে রক্ষনাবেক্ষন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মসজিদের সৌন্দর্য ও জৌলুস দিন দিন কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। চুন-সুরকী দিয়ে নির্মিত মসজিদটির মূল ভবন চারপাশে ২০০ বর্গফুট বিশিষ্ট এবং উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। এক গম্বুজ বিশিষ্ট একতলা মসজিদের ভিতরে ২৫ থেকে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের ভেতরে বাইরে সমস্ত পলেস্তার ফেটে ভেঙে ইট বের হয়ে গেছে। পরিচর্যা ও রক্ষনাবেক্ষন না করায় মসজিদের বাহিরের আস্তর নষ্ট হয়ে অধিকাংশ জায়গা থেকে খসে পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে দেয়ালে শেওলা জমে বিবর্ন হয়ে মসজিদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদটির পাশেই ৫’শত বছরের পুরানো একটি দিঘি রয়েছে। এলাকাবাসী মনে করেন প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর উদ্যোগ নিলে এটি হতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান। মুন্সী আমিরউল্লাহর সপ্তম বংশধর শাহ আলম মুন্সি (৮০) জানান, অনেকবার প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন কিন্তু কেউই এটি সংস্কার বা রক্ষনাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব নেয়নি। দশমিনা সরকারী ডিগ্রি কলেজের ইসলামী ইতিহাসের শিক্ষক মো: ইমাম হোসেন জানান, দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যর অংশ হিসেবে এই মসজিদটি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সরকার এবং প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব নেয়া উচিত।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এস,এম শাহজাদা জানান, মসজিদটি সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরকে ডিও লেটার পাঠানো হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here