মণিরামপুরে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর নির্যাতনে ঘরছাড়া গৃহবধূ ॥ আদালতে মামলা

0
279

রাহাত আলী, স্টাফ রিপোর্টার, মণিরামপুর : যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি, যৌতুক নেওয়া অপরাধ, এটা জেনেও যৌতুকের জন্য নিজের স্ত্রী পলি খাতুন (৩৪) কে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী শামীম হোসেন (৩৫)। শামীম হোসেন মণিরামপুর উপজেলার দেবীদাসপুর গ্রামের শের আলী দফাদারের ছেলে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, শামীম হোসেন গত ৮/৯মাস আগে উপজেলার মাছনা বেগমপুর গ্রামের রিজউল সরদারের মেয়ে পলি খাতুনকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে বিবাহ করেন। বিয়ের কিছুদিন পর শশুরবাড়ীর লোকজন পলি খাতুনকে তার পিতার বাড়ী থেকে পুনরায় টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি পিতার বাড়ী থেকে সুদে করে আরো ১০ হাজার টাকা এনে পাষন্ড স্বামী শামীম হোসেনের কাছে দিন। এরপর পলি খাতুনের সংসার কিছুদিন ভাল চললেও পুনরায় টাকার জন্য আবার চাপ দিতে শুরু করে। টাকা আনতে অস্বীকার করায় তার স্বামী শামীম হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে এবং নির্যাতন চালায়। কিন্তু গরীব, অসহায় পলি খাতুন টাকা কোথায় পাবে? অস্বচ্ছল পরিবার যেখানে উপার্যন করার কেউ নেয়, সেখানে আবার নতুন করে টাকা দিতে দিশেহারা হয়ে যায় তিনি। গত ২৭ এপ্রিল মাসে ভূক্তভোগী পলি খাতুনের স্বামী শামীম হোসেনের যোগসাজনে রেহেনা বেগম, শের আল দফাদার, রফিকুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, মামুন হোসেন ও শহিদুল ইসলাম দ্বয় যৌতুকের দাবীতে পলি খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করিয়া তার পিতার বাড়ীতে তাড়াইয়া দেয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পলি খাতুন মণিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও কোন উপকৃত না হওয়ায় সম্প্রতি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত যশোরে মামলা দায়ের করেন। ভূক্তভোগী পলি খাতুন বলেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে আমার স্বামী মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে অনবরত হুমকি দিয়ে আসছে এবং আমি আমার স্বামীর বাড়িতে ফেরত গেলে আমাকে আবারো মারধর করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি ভয়ে আমার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে পারছি না। তাই পৌর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল হোসেন বলেন, এটা খুবই দুঃখ জনক। যৌতুকে জন্য নিজের স্ত্রীকে এভাবে মারপিট সহ্য করা যায়না। আমি নিজেই তাদের বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here