নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের ২টি গ্রামের মানুষ ভাঙ্গা লোহার ব্রিজ দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলার একমাত্র অবহেলিত ও উপেক্ষিত জনপদ এই আলীপুরা ইউনিয়নের গ্রামীন পর্যায়ে তেমন কোন উন্নতি হয়নি। আধুনিক যুগে এসেও এই ইউনিয়নের কোথাও কোন আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। গ্রামীন অবকাঠামোর তেমন কোন উন্নতি নেই।
সরেজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ২নং আলীপুরা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ড সীমান্তবর্তী দুইটি গ্রাম। এই দুই গ্রামের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ দক্ষিন-পশ্চিম-উওর এই তিন দিকে একটি খাল বয়ে গেছে। দুই গ্রামের মধ্যখানের দক্ষিন প্রান্তে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই জরাজীর্ন লোহার ব্রিজ। ভাঙ্গাচোরা লোহার ব্রিজ দিয়ে প্রতিনিয়ত এলাকাবাসী চলাচল করছে। ব্রিজটির অধিকাংশ পাটাতন ভেঙ্গে পড়ে গেছে। ব্রিজের অধিকাংশ লোহার পাত ও ভিম নড়ে বড়ে হয়ে গেছে। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ন হবার পরও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। অপর দিকে গ্রামটির উওর প্রান্তে একই খালের উপর রনগোপালদী ও আলীপুরা ইউনিয়নের সাথে চলাচলের একটি বড় বাঁশের সাঁকো রয়েছে। এ সাঁকো দিয়ে বাজারমুখী লোকজন চলাচল করে থাকে। অনেকেই এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে দূর্যটনায় পড়েছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এই বিষয়ে তেমন কোন কাজ করছে না। এলাকার খেটে খাওয়া লোকজন তাদের নিজেদের যাতায়াতের সুবিধার্থে নিজেরাই মাঝে মধ্যে মেরামত করে থাকে। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত ভাবে বার বার আবেদন করার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এলাকাবাসী খালের উপর নির্মিত পুরাতন লোহার ব্রিজটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা সহ একটি নতুন ব্রিজ নির্মান করার দাবী জানিয়েছে।