রাজিয়া সুলতানা,লোহাগড়া(পৌর)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ টেন্ডার ছাড়াই কেটে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আত্মসাৎকৃত গাছের মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। জানা যায়, কাউড়ীখোলা-কামঠানা সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আর তাই রাস্তার পাশের্^র বনবিভাগের মালিকানাধীন বাবরা, রেইট্রি সহ গামারী প্রজাতির অন্তত ১৫০ টি গাছ কর্তন করা হয়েছে। কর্তনের পর গাছগুলি বনবিভাগের অফিসে নিয়ে রাখার কথা। অথচ অন্তত ১২০টি কেটে রাখা গাছ রাখা হয়েছে কামঠানা গ্রামের বিভিন্ন লোকের বাড়িতেসহ রাস্তার পাশের ।
শনিবার সকালে লোহাগড়া উপজেলা বনবিভাগ অফিসের বাগানমালী মোঃ ইকবাল মুন্সীকে পাওয়া যায় কালনা-লক্ষীপাশা সড়কের পাশের সমিলের সামনে। সেখানে বনবিভাগের কর্তনকৃত অনেক গাছ রাখা রয়েছে। তিনি জানান, টেন্ডার ছাড়াই জেলা বনবিভাগের কর্মকর্তার নির্দেশে গত ৩/৪ দিন ধরে এসব গাছ কাটা হয়েছে। কর্তনকৃত গাছ বহন করে আনা ভ্যান চালক ইয়াসিন বলেন, ভ্যানগাড়িতে সমস্যা হওয়ায় সমিলের সামনে রাখছি। কামঠানা গ্রামের আলমগীর সিকদারের স্ত্রী লাকীকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, সমিতির সদস্য মোঃ রাজ্জাক খানের ছেলে আলামিন ও মনি মিয়া আমাদের বাড়ির উঠানে সরকারি গাছ রেখে গেছে। আমরা নিষেধ করলেও শোনেনি। বনায়ন রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির সদস্য মোঃ রাজ্জাক খান বলেন, গাছ কাটতে সমিতির কোন সভা হয়নি, টেন্ডারও হয়নি। গাছ কোথায় ফেলিছে জানিনা। সমিতির সভাপতি মনি মিয়া শেখ সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কেটে পড়েন। বনবিভাগের নড়াইল জেলা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদ বলেন, রাস্তার কাজ চলছে তাই আমি সরেজমিনে গিয়ে সমিতির সদস্যদের সাথে কথা বলে গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছি। টেন্ডার করবার সময় পাইনি। গাছগুলি কেটে লোহাগড়া অফিসে নেবার কথা আর ডালপালাগুলি শ্রমিকদের নেবার কথা। অনিয়ম হয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখবো। লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোসলিনা পারভীন জানান, গাছ কাটার খবর আমি জানতাম না। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।