১০৩তম ঐতিহাসিক অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লববার্ষিকী উপলক্ষ্যে যশোর শহরে লাল পতাকা মিছিল ও প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত

0
474

স্টাফ রিপোর্টার :

 ৭ নভেম্বর  ১০৩তম ঐতিহাসিক অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লববার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর জেলা কমিটির উদ্যোগে দুপুর ১২টায় পাইপপট্টি মোড় থেকে একটি লাল পতাকা মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সংগঠনের জেলা সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট যশোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সমীরণ বিশ্বাস ও অভয়নগর থানার শ্রমিকনেতা নাজমুল হুসাইন। সমাবেশটি পরিচালনা করেন জেলা দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান রাজেস। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের যুগ্ম-সম্পাদক ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক প্রকাশ দত্ত। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আমেরিকার নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই ক্ষমতাসীন হোক না কেন তারা বিশ্ব মোড়ল হিসেবে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ-কর্তৃত্ব-নেতৃত্ব রক্ষায় আগ্রাসীযুদ্ধ অর্থনীতি-রাজনীতিরই ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর পূর্বশর্ত হচ্ছে শোষণমূলক পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার উচ্ছেদ সাধন। আজ পৃথিবীব্যাপী যে শোষণ, নির্যাতন, যুদ্ধ-বিগ্রহ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রজাতীয়তাবাদের ভয়াবহ রূপ পরিলক্ষিত হচ্ছে তার জন্য দায়ী হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ। আবার বিশ্ব বাজার পূনর্বণ্টন নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র ও যুদ্ধ প্রস্তুতি প্রক্রিয়া অগ্রসর হচ্ছে এবং বিশ্বযুদ্ধের বিপদের দিকে পৃথিবী ধাবিত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়া তথা এতদ্বঞ্চলে এর প্রভাব প্রকাশ্য রূপ পাচ্ছে। আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক জোট ও চীনের নেতৃত্বে বিআরআই’এ বাংলাদেশের গুরুত্ব বিবেচনায় রশি টানাটানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য আমেরিকা ও তার দালাল ভারতের ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে বৃহৎ প্রকল্পসহ বিনিয়োগে চীনের মুখাপেক্ষী। উভয়পক্ষ স্ব স্ব অবস্থান ও স্বার্থগত কারণে দ্বন্দ্বে বাংলাদেশকে পক্ষে টানতে চাইছে। এ অবস্থায় দেশ সম্ভাব্য আঞ্চলিক সংঘাতে তথা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার বিপদের মুখোমুখি। একদিকে যেমন সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের বেপরোয়া শোষণের ফলে শ্রমিক-কৃষক তথা ব্যাপক জনগণের সমস্যা-সংকট বাড়ছে অন্যদিকে সকল ধরনের মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ গণতান্ত্রিক অধিকার রুদ্ধ করতে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাসের ষ্ট্রিম রোলার চালানো হচ্ছে জনগণের ওপরে। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পরিস্থিতিতে এ দেশের শ্রমিক শ্রেণিকে অক্টোবর বিপ্লবের মহান শিক্ষাকে সামনে রেখে শোষণমূলক পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা উচ্ছেদের সংগ্রামে সাহসের সাথে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। একই সাথে সকল ধরনের ভ্রান্ত মতবাদের বিরুদ্ধেও আপসহীন সংগ্রাম করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here