কামরুজ্জামান লিটন ঝিনাইদহ : গত দুই বছর পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। শাক-সবজিসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার পর পেঁয়াজের ঝাঁজে রীতিমতো নাকানি-চুবানি খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নি¤œবিত্ত পরিবারগুলোর নাভিশ্বাস অবস্থা। এ নিয়ে লেখালেখিও কম হয়নি। এখনও অনেক বেশি দামেই মানুষকে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক এই সঙ্কটের কারণে আশা করা হচ্ছিল, দেশের কৃষি বিভাগ সামনের মৌসুমে বেশি করে পেঁয়াজ চাষের বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করবে, যাতে চাহিদার বেশির ভাগ দেশেই উৎপাদিত হয় এবং আমদানির ওপর নির্ভর কমে যায়। কিন্তু সে আশার গুড়েও মনে হয় বালি পড়তে যাচ্ছে। কারণ এবার পেঁয়াজ বীজের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক গুণ বেড়ে গেছে। লালতীর নামক এক কোম্পানীর নিকট জিম্মি হয়ে গেছে এবারের পেঁয়াজ চাষীরা। ঝিনাইদহে কৃষক পর্যায় সরকারী বীজ বিক্রয় না করায় প্রথমে ১০ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও বাজারে কৃত্তিম সংকট তৈরি করে দফায় দফায় বৃদ্ধি করে তা কেজি প্রতি ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছানো হয়েছে। বীজের বাড়তি দামের কারণে শেষ পর্যন্ত চাষের এই ল্যমাত্রা পূরণ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এক কেজি বীজের দাম ১৬ হাজার টাকা হলে কৃষক কতটুকু জমিতে পিঁয়াজ চাষ করতে পারবে। আর সেই পেঁয়াজের দাম কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে এটা ভাববার বিষয়। যার ফলে কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছেন। তারা বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষের সাহস পাচ্ছেন না।
মৌসুম চলে এলেও বীজের চড়া দাম কৃষকদের সব উৎসাহ-উদ্দীপনা দমিয়ে দিচ্ছে। এত কিছুর পরও বাজারে চাহিদামতো পেঁয়াজের বীজের সরবরাহ নেই।