স্টাফ রিপোর্টার : যশোর সদরের জোড়াদাহ গ্রামের শিশু মিনহাজ হত্যা মামলায় মাসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন পরিদর্শক হাসান ইমাম।
অভিযুক্ত আসামিরা হলা বাঘারপাড়ার তৈলকুপ গ্রামের আব্দুল মালেক মীরের মেয়ে নিহত মিনহাজের মা সালমা খাতুন, আব্দুল মালেক মীরের স্ত্রী নিহতের নানী ছায়রা বেগম, আব্দুল আলীম মীর ও তার ছেলে জাভেদ মীর, পদ্মবিলা গ্রামের আদম আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন ও সদরের লেবুতলা গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে কামরুল হোসেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর সদরের জোড়াদাহ গ্রামের ইমদাদুল হোসেন পারিবারিক ভাবে বাঘারপাড়ার তৈলকুপ গ্রামের আসামি সালামা খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের এক মাত্র পুত্র সন্তান মিনহাজ। যার বয়স ৪ বছর। আসামি সালাম তার স্বামীর ঘরে থাকতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরোকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে। মাঝে মধ্যে ছেলে মিনহাজকে মারপিট করতো। এ অবস্থায় ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট ইমদাদুল তার শাসুড়ীসহ অপর আসামিদের তার বাড়িতে ডেকে আনেন। আলোচনার মধ্যে সালমা তার ঘর করতে চায়না বলে জানিয়ে দেয়। এ সময় অন্যরা তার ছেলে মিনহাজকে সাথে নিয়ে যেতে বল্লে সে রাজি হয়না। অন্য আসামিরা জোর করে তার সাথে নিয়ে যাওয়ার সময় মিনহাজকে চিত্রা নদীর পাটের জাগরে তলে দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। মিনহাজ নানা বাড়ি অবস্থান করছিল। ১৫ আগস্ট সকল থেকে দুপুরের মধ্যে যে কোন সময় আসামিরা মিনহাজকে হত্যা করে চিত্রানদীর পাট জাড়ের তলে লুকিয়ে রাখে। এব্যাপারে নিহত মিনহাজের পিতা এমদাদুল হোসেন বাদী হয়ে আদালতে মামালা করেন। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর বাঘারপাড়া থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও স্বাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ওই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটভুক্ত সকল আসামি জামিনে আছে।