স্টাফ রিপোর্টার: যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রতিশ্রুত ৫০ হাজার টাকা পেলেন এসএ গেমসের তায়াকোন্দোতে সোনাজয়ী শাম্মী আক্তার।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ায় ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এমপি নাবিলের পে শাম্মী আক্তারের হাতে নগদ টাকা তুলে দেন থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা মধু ও এমপি সাহেবের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। মাত্র সপ্তাহ আগে এমপি কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে সাাৎ করেন সোনাজয়ী মেয়ে শাম্মী আক্তার। বর্তমানে তিনি তার পিতৃহীন দু’সন্তান যথাক্রমে আবু হুরায়রা (৭) ও আবু হামজাকে (৩) নিয়ে সেনানিবাসের কোয়ার্টারে থাকেন। জানা যায়, ২০১০ সালের এসএ গেমসে তায়াকোন্দোতে সোনা জেতেন শাম্মী। বাংলাদেশ আনসারের হয়ে ঘরোয়া খেলায়ও তার সাফল্য ঈর্ষণীয়। টানা চারবার জাতীয় প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছেন। ঢাকায় কোরিয়ান কাপ তায়াকোন্দোয় জেতেন তিন সোনা। খেলেছেন ২০১০ গুয়াংজু এশিয়ান গেমস ও চেন্নাইয়ের কমনওয়েলথ তায়াকোন্দো চ্যাম্পিয়নশিপে। পেয়েছেন ব্ল্যাক বেল্ট। খেলার সূত্রেই পরিচয় এবং ২০০৯ সালের ৫ জুন বিয়ে করেন সেনাবাহিনীর সৈনিক ও তায়াকোন্দো খেলোয়াড় সাইফুল ইসলামকে। পরে শারীরিক সমস্যায় খেলা ছেড়ে সংসার শুরু করেন শাম্মী। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট ঝিনাইদহের সরোজগঞ্জ বংকিরায় শাম্মীর শ্বশুরবাড়িতে ডাকাতের হাতে খুন হন সাইফুল। এরপর সন্তানদের নিয়ে অকূল পাথারে পড়েন তিনি। স্বামীর পেনশনের টাকায় কোনোরকমে দিন চলছে। কিন্তু কর্তৃপ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে তাকে কোয়ার্টারের বাসা ছাড়তে হবে। এ অবস্থায় শাম্মীর সঙ্গে সাাৎকালে (গত ১১ নভেম্বর) সংসদ সদস্য কাজী নাবিল অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় থাকা শাম্মীর পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ, এককালীন ৫০ হাজার টাকা এবং সন্তানের শিার জন্যে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন।