বিচারক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ার শঙ্কা যবিপ্রবি শিক্ষিকার

0
290

স্টাফ রিপোর্টার : বিচারক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন। তিনি আশংকা করছেন  মামলার আসামী মাসুদ রানা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ায় তিনি বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে মামলার রায়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। ফলে তিনি ন্যয় বিচারের জন্য আইনমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিনের বিয়ে হয় নীলফামারী জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার সাথে। এটা মাসুদ রানার দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে মাসুদ রানা নানা অজুহাতে ফারজানার পরিবারের কাছে মোটা অংকের অর্থ দাকব করতে শুরু করে। নানা অজুহাতে সে ফারজানা ও তার পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে। বিচারক স্বামীর চাহিদা পূরণ করতে ফারজানা ও তার পরিবারের সস্যরা বেশ কয়েক দফায় বহু টাকা প্রদান করেছেন। কিন্তু দিন দিন মাসুদ রানার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফারজানার সাথে তার সম্পর্ক অবনতি  ঘটে। এক পর্যায়ে মাসুদ রানা স্ত্রী ফারজানাকে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন। তাকে মারপিট করতে থাকেন। বিষয়টি প্রথম পর্যায়ে পারিবারিক ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন ফারাজানা ও মাসুদ রানার পরিবার । শেষ পর্যন্ত সুষ্টু   বিচার দাবি করে ফারজানা গত  মাসে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন  স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  মাসুদ রানার বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করেন। মামলাটি আদালত রেকর্ড না করে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারিতে পাঠায়। ইতিমধ্যে ইনকোয়ারি টিমের তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা  গেছে ওই রিপোর্ট ে ফারাজানার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। কিন্তু অদ্যাবধি আদালত ফারজানার আবেদনটি মামলা হিসেবে রেকর্ড বা শুনানীর পর্ায়ে নেয়নি আদালত।

এদিকে গত ১১ নভেম্বর মামলার বাদীকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্শনা দিলে বাদী তার আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল গফুরের মাধ্যমে  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন স্পেশাল বিচারক এটিএম মুছার আদালতে হাজির হন। বিচারক বাদীকে টানা ৪০ মিনিট আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখেন এবং মামলা সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরেও বেশ কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে বাদীকে প্রশ্ন করেন বলে অভিযোগ করেন বাদী ফারজাহান নাসরিন। তিনি বলেন, বিচারক অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলে  আমাকে ভরা আদালতে বিব্রত করে তোলেন। এক পর্যায়ে আদালত একটি অস্পষ্ট ভাবে লেখা কাগজে আমাকে স্বাক্ষর করতে বললে আমি তা করতে অস্বীকার করি। আমি আদালতকে অনুরোধ করি বিষয়টি টাইপ করে স্পষ্ট ভাবে লিখে আনলে আমি স্বাক্ষর করবো। কিন্তু আদালত আমার বক্তব্যকে ভিন্ন ভাবে গ্রহণ করে উল্টো আমাকে শোকজ করবে মর্ম স্বতর্ক  করলে আমি আদালত কক্ষ ত্যাগ করি। এর পর পরই বিচারক তার পিয়নের মাধ্যমে আমাকে তার খাস কামরায় দেখা করতে বলেন। কিন্তু আমি ও আমার মা বিচারকের খাস কামরায় দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করায় আ;দালত আমাকে মামলার বিষয়ে শোকজ করে আগামী ২৩ নভেম্বরের মধ্যে তার জবাব দাখিলের নির্দশনা প্রদান করেন। আমি গত ১৭ নভেম্বর ওই শোকজ নোটিশের জবাব আদালতে দাখিল করেছি। বাদী বলেন, আমি বিচার প্রার্থনা করে আবার শোকজ নোটিশ খাচ্ছি। এটা একটি মেয়ে হিসেবে আমার জন্য লজ্জার। তিনি বলেন, যেহেতু মামলার বিবাদী একজন বিচারক। ফলে সঙ্গত কারনেই আমি ধরে নিচ্ছি যশোরের বিচারিক আদালতের বিচারক এটিএম মুছা বিবাদীর পক্ষ অবলম্বন করে আমাকে অযথা হয়রানী করছেন।

বাদী ফারজানান বলেন, জুডিশিয়ালী ইনকোয়ারী রিপোর্ট ে আমার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে তারপরও বিচারিক আদালত অঅমার মামলাটির বিচার কার্য নিয়ে এক প্রকার টালবাহানা করছে । ফলে আমি ন্যয় বিচার পাবোনা  ধরে নিয়েই ইতিমধ্যে আমি মাননীয় আইনমন্ত্রী , আইন সচিব মহোদয়ের কাছে লিখিত বিচার প্রার্থনা করেছি।

এ বিষয়ে ফারজানার আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল গফুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,  ঘটনাটি দুঃখজনক।  আমরা নিশ্চিত আমার মক্কেল ন্যয় বিচার পাবে না। কারন জুডিশিয়াল তদন্ত রিপোর্ট পক্ষে থাকার পরও বিচারক মামলাটি শুনানীতে না নিয়ে উল্টো বাদীকে শোকজ করেছে। আমরা ইতিমধ্যে শোকজ লেটারের জবাব দিয়েছি। এখন বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন  স্পেশাল আদালতের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন,  আদালত বাদীর আবেদনটি আমলে নিয়ে তদন্ত করতে পাঠায় ।  চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে আদালতে রিপোর্

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here