স্টাফরিপোর্টার : বাড়িওয়ালার কু-প্রস্তাবে রাজী না হয়ে প্রতিবাদ জানানোর কারনে ধারালো বটির কোপে গৃহবধূ রিতু বেগম (৪০) গুরুতর জখম হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বাড়িওয়ালা টোকনকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা মুন্সীপাড়া এলাকার মাহাবুর রহমান মবু’র ছেলে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের মৃত সেলিম বিশ^াসের ছেলে রানা বাদি হয়ে মামলা করেছেন।
রানা বাড়িওয়ালা টোকনের বিরুদ্ধে মামলায় উল্লেখ করেন, টোকনের ১তলা পাকা বাড়ির উত্তর পশ্চিম কর্নারের একটি কক্ষে রানা স্ব-পরিবারে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে। টোকনের স্বভাব চরিত্র ভাল নয়। ২৩ নভেম্বর সোমবার সকাল ৬ টায় রানার স্ত্রী রিতু বেগম ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে বাসার সামনে দাড়িয়ে ব্রাশ করছিল। টোকন দেখে গৃহবধূ রিতু বেগমের কাছে এসে কু-রুচিপূর্ন কথাবার্তা বললে রিতু বেগম টোকনকে সংযত হয়ে কথা বার্তা বলতে বললে টোকন রিতু বেগমের সাথে তর্ক বির্তকে লিপ্ত হয়ে মারপিট শুরু করে। রিতু বেগমকে মাটিতে ফেলে কাপড় চোপড় বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এক পর্যায় টোকন তার ঘরের সামনে থাকা তরকারি কাটা বটি দিয়ে রিতু বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রিতু বেগম চিৎকার দিলে স্বামী রানা দৌড়ে এসে টোকনের হাত থেকে বটি কেড়ে নিয়ে টোকন লোহার রড দিয়ে রিতু বেগমকে মাথায় আঘাত করে জখম করে। স্বামী স্ত্রীর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে টোকন দৌড়ে পালানোর চেষ্টার এক পর্যায় ডান পায়ে আঘাত পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রানা উক্ত টোকনকে আটক করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে টোকনকে গ্রেফতার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় রিতু বেগমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়