শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ !  শিক্ষার্থীরা ঘরের বাইরে-বইয়ের বাইরে  

0
239
জসিম উদ্দিন, শার্শা : মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৷ আর এই বন্ধের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের বেশীর ভাগ সময় এখন কাটছে ঘরের বাইরে-বইয়ের বাইরে ৷ ইন্টারনেট ব্যবহৃত ফ্রি ফ্যায়ার সহ বিভিন্ন গেমসে ঝুঁকছে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
শুধু শহরেই নয় গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরাও দিন দিন  ফ্রি ফ্যায়ার নামক গেমের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে।
এই বিষয়ে একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়,যে সময় শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত থাকার কথা পড়া-লেখাসহ শিক্ষা পাঠ গ্রহণ নিয়ে ও খেলার মাঠে ৷
সেখানে তারা ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আসক্ত হচ্ছে বিভিন্ন গেমসে। এসব বিদেশী গেমস থেকে শিক্ষার্থী বা তরুণ প্রজন্মকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে হবে ৷ এতে সকল পরিবারের অভিভাবকদের শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে হবে ৷
ফ্রি ফ্যায়ার নিয়মিত খেলা করে এমন এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে সে জানায়, ফ্রি ফ্যায়ার গেমস আগে আমার ভালো লাগতো না ৷ কিন্তু বর্তমান আমার একদিন এই গেমস নাহ খেললে মাথায় কাজ করে না ৷
এই পর্যন্তক আমি অনেক লেভেলে উঠেছি ৷ তাতে আমার অনেক অর্থ ও ব্যয় হয়েছে ৷ আমি ডায়মন্ড কিনেছি অর্থের মাধ্যমে ৷
আরেকজন ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মামুনের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন ফ্রি ফ্যায়ার গেমস সম্পর্কে আমি কিছু জানতাম না। কিন্তু এখন নিয়মিত খেলা করি । মাঝে মধ্যে গেমস খেলতে না পারলে মুঠোফোন ভেঙে ফেলার ইচ্ছা হয়।
তিনি আরো বলেন, ফ্রি ফ্যায়ার গেমস যে একবার বুঝবে সে আর ছাড়তে পারবে না বলে  এমন দাবি করেন তিনি।
এদিকে  ফ্রি ফ্যায়ার নামক গেমসে আসক্তি হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফ্রি ফ্যায়ার  নামক গেমস মাদকদ্রব্যর নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর। দিন দিন গেমের নেশায় এখন আর লেখাপড়া করতে ভাল লাগেনা।
করোনাকালের ঝড়ো ঝাপটায় অনিশ্চয়তায় পড়েছে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক সহ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘ ৯ মাস স্কুল বন্ধ থাকায় পাঠ্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন সকল শিশুরা। অনেকে জড়িয়ে পড়ছে শিশুশ্রমে।
এর মধ্যে দেখা দিয়েছে বাল্য-বিয়ের হার। পরের দিন গুলোতে আরো বৃদ্ধির শঙ্কাও রয়েছে। এ অবস্থায় টেলিভিশন-অনলাইন ক্লাসের সঙ্গেও তাল মেলাতে পারছে না বেশিরভাগ গ্রামীন ও গরীব শিশুরা।
ফলে ইন্টারনেট অফলাইনে কোর্স ম্যাটেরিয়াল ও হোম ভিজিট সচল রাখার কথা বলছেন শিক্ষক অভিভাবক সহ সচেতন মহল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here