নাসির আহমেদ, দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নিজস্ব ভবন না থাকা, আবার ভবন থাকলেও ছাদ চুইয়ে পানি ও পলেস্টার খসে পড়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, চিকিৎসক সংকটসহ নলকূপ না থাকায় বর্তমান সরকার ঘোষিত কমিউনিটি কিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলের স্বাস্থ্য সেবা বিঘিœত হচ্ছে।
জানা যায়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় উপজেলা সদরের হাজির হাট কমিউনিটি কিনিকে গত বছর ২ জুলাই সোলার প্যানেল চুরি হয়। ৪ জুলাই থানায় জিডি হলেও অদ্যবধি পুলিশ তা উদ্ধার করতে পারেনি। উপজেলার ১৫টি কমিউনিটি কিনিকের মধ্যে ৩টিতে গভীর নলকূপ রয়েছে। হাজির হাট, কাটাখালী, বাংলাবাজার, নেহালগঞ্জ, ঠাকুরেরহাট, বাঁশবাড়ীয়া, জমিনমৃধা, উত্তর রণগোপালদী, চর বোরহান, পূর্ব আউলিয়াপুর, খলিশাখালী, দক্ষিণ আদমপুর মৃধার হাটসহ ১২টি কমিউনিটি কিনিকে বিশুদ্ধ পানির অভাবে রোগীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিনিকগুলোর মধ্যে হাজির হাট ভবনের পলেস্টার খসে পড়া, বাংলাবাজার ভবনে বড় ধরণের ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিকে, উপজেলার আউলিয়াপুর কমিউনিটি কিনিকের নিজস্ব ভবন না থাকায় ভাড়া বাসায় কার্যক্রম চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে জানা যায়, উপজেলা কিনিকের কার্যক্রম চলে একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও একজন ডেন্টাল চিকিৎসক দিয়ে। বহরমপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন চিকিৎসক নেই। নিয়ম রয়েছে তৃণমূলে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন করে সহকারী সার্জন থাকার সেক্ষেত্রে একজনও নেই ।