কপিলমুনিতে চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাঁসি

0
250

কপিলমুনি (খূলনা) সসংবাদদাতা : পাইকগাছা উপজেলাতে চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক ধান কাটতে শুরু করেছেন। ভাল ফলন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তি কৃষকরা অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে । উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর চলতি মৌসুমে ১৭ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লমাত্রা নির্ধারণ করেন। লমাত্রার স্থলে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৭ হাজার ২০ হক্টর জমিতে উন্নত ও দেশীয় জাতের আমন ফসেলর চাষ হয়েছে। উন্নত জাতের মধ্য রয়েছে বিআর-১০, বিআর-১১, বিআর-২৩, ব্রী-ধান ৩৯, ব্রী-ধান ৪৯, ব্রী-ধান ৭৬, ব্রী-ধান ৭৩, বিনা-১৯, বিনা-০৭। স্থানীয় জাতের মধ্যে রয়েছে, হরিভোগ, হরকোচ, জটোবালাম ও আশফাইল। এ বছর পোকার আক্রমন দেখা দিলেও সঠিক সময় কৃষি বিভাগ পোকা দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আমন ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। গোপালপুর গ্রামের কৃষক সলেমান মোড়ল জানান, চলতি মৌসুমে ৭ বিঘা জমিতে বিআর-২৩ ও ব্রী-ধান ৪৯ আবাদ করেছি। ভাল ফলন হবে বলে আশা করছি। গজালিয়া গ্রামের আমান উল্লাহ ফকির জানান, ৬ বিঘা জমিতে বিআর-১০ ও ২৩ এবং ব্রী-ধান ৪৯ চাষ করেছি। দু’একদিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করবো। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর আমনের ভাল ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, কাইচ থোড় অবস্থায় আমন ফসল পাতা মোড়ানো মাজরা ও গাছ ফড়িং পোকার আক্রমন হয়। পোকার উপস্থিতি টের পেয়েই সাথে সাথে কৃষি বিভাগের প থেকে আলোকফাঁদ স্থাপন সহ পোকা দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়। যার ফলে পোকায় ফসলের তেমন কোন তি করতে পারেনি। এলাকার সব খানেই এ বছর আমনের ভাল ফলন হয়েছে। আশা করছি হেক্টর প্রতি ৫.৭ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here