বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী রেভিনিউ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহনের ভিডিও ভইরাল, উৎকোচ ছাড়া নড়েনা কোন ফাইল

0
631

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী রেভিনিউ অফিসার (শুল্কায়ন গ্রুপ-৪) রাসেল কবীর। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সেই ভুক্তভুগি না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ঘুসের টাকা কম দেওয়ায় ১টি ফাইল ও ঘুসের টাকা ছুড়ে ফেলে দেন এ আরো রাসেল কবির। পরে উৎকোচের পরিমান বাড়লে ফাইলটি স্বাক্ষর করেন। যদিও এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী রেভিনিউ অফিসার (শুল্কায়ন গ্রুপ-৪) রাসেল কবীর বলেন, আমার অফিসের ড্রয়ারে আমি টাকা রাখতেই পারি, আমাকে ফাসানোর জন্য কেউ এটা করেছি। তিনি বলেন আমি অন্য একজনকে বিকাশে টাকা পাঠাবো বলে টাকা গুনে ড্রয়ারে রাখি।


এমনিভাবেই যশোরের বেনাপোল কাস্টমস্ কর্মকর্তাদের ঘুষ গ্রহন এখন অনেকটাই ওপেন সিক্রেট হয়ে দাড়িয়েছে। প্রকাশ্যে আর গোপনে যে যেমন পারছে তেমনি ভাবে উৎকোচ নিয়ে বিভিন্ন কৌশলে কাস্টমস কর্মকর্তারা কোটি কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করে আসছে। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আর কালো টাকার পাহাড় গড়ছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। সাম্প্রতি ঘুষ বাণিজ্য বেড়ে যাওয়ায় গেল কয়েক বছর ধরে আমদানি পণ্য থেকে রাজস্ব বোর্ডের ল্যমাত্র কোন ভাবে পূরণ হচ্ছেনা। ঘুষ গ্রহনে দিন দিন কাস্টমস কর্মকর্তারা বেপরোয়া হয়ে উঠলেও যেন প্রতিরোধে দায় নেই কারো।
জানা যায়, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী রেভিনিউ অফিসার (শুল্কায়ন-৪) রাসেল কবীর সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতে আমদানি কারকদের সহযোগীতা করে পণ্য চালানে সার করে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহন করছেন। তার ঘুষ গ্রহনের ছবি ভুক্তভোগী কোন এক ব্যবসায়ী ভিডিও ধারন করে ছেড়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী জানান, মঙ্গলবার (১লা ডিসেম্বর) বেনাপোল কাস্টমস হাউসে খুকা এভ এর ব্যানারে কর্মকর্তাদের কলম বিরতি পালন শেষে কাজে ফিরেই সি এন্ড এফ কর্মচারীদের কাছ হতে ফাইল প্রতি ৫ হাজার থেকে লাখ লাখ টাকা করে প্রকাশ্যে ঘুস গ্রহন করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here