স্টাফ রিপোর্টার: যশোর সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের এক যুবককে ফাঁসাতে যেয়ে নিজেই ফেঁসে যাচ্ছেন রাজাপুরের আলোচিত জব্বার। পূর্বশত্রুতার জেরে এক যুবকের প্যান্টের পকেটে নিজে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন জব্বার। এরপর পুলিশ ডেকে রোহানকে ধরিয়ে দেয়। যা ঘটনাস্থলের একটি প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরায় উঠে এসেছে। শুধুই তাই নয়, জব্বার নিজেই হয়েছেন ওই মামলার সাক্ষী। এ মামলায় পুলিশ আসামিকে আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতে আসামির জামিন প্রার্থনা করে। রোববার জামিন শুনানির নির্ধারিত দিনে আসামিপক্ষের আইনজীবী ওই ভিডিও আদালতে উপস্থাপন করে। এরপর বিষয়টি বিচারকের নজরে আসে। জেলা ও দায়রা জজ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক মামলার বাদী ও সাক্ষীকে হাজিরের নির্দেশ দিয়ে আগামি ১৩ ডিসেম্বর মামলার জামিন শুনানীর দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মাহমুদ কবীর কাকন।
গত ২০ নভেম্বর যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে ৩৫ পিছ ইয়াবাসহ রাফিউল হাসান রোহান (২২) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। সে সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে। মামলার বাদী কসবা ফাঁড়ির এএসআই উজ্জ্বল এজাহারে উল্লেখ করেন, শুক্রবার রাত সাত টা ৫ মিনিটে যশোর ইন্সটিটিউটঅব নার্সিং সাইন্সএন্ড মিউওয়াইফরী মার্কেট এর নিচতলা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার প্যান্টের সামনের ডানপাশের পকেট থেকে ৩৫ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এমামলা সাক্ষী করা হয় রাজাপুর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে আলোচিত জব্বারকে। মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, এসময় কসবা ফাঁড়ির এসআই শহিদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, রোহানের পরিবার বলছেন, তার ছেলের মাদকের সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনি ওর নামে কোনো মামলাও নেই। ওই দিন জব্বার কথা আছে বলে রোহানকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারে পুলিশ ধরেছে। তারা ওই এলাকায় যেয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের পর সব সত্য উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, জব্বার নিজেই গোপনে রোহানের পকেটে ইয়াবা ঢোকানোর চেষ্টা করছে। একপর্যায় পকেটে ঢুকানোর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং রোহানকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। রোহানের মামা জাহিদ হাসান জলিল আরো জানায়, সেটি তারা আদালতে উপস্থাপন করেছেন। আদালত আগামি ১৩ ডিসেম্বর জামিন শুনানীর দিন ধার্য্য করেছে।