কাল যশোর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন

0
308

স্টাফ রিপোর্টার : আর মাত্র একটি রাত তারপরেই ১০ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সংরতি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। জোৎ¯œা আরা মিলির কলস প্রতীক ও এডভোকেট সেতারা খাতুনের হাঁস প্রতীকের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। প্রার্থী ও তাদের অনুসারিদের মধ্যে সাজ সাজ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যশোর সদর-আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক যশোর-৬ আসনের এমপি শাহীন চাকলাদারের অনুসারিরা এই প্রতিযোগিতায় বাড়তি আকর্ষণ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সংরতি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। একই সাথে অনুষ্ঠিত হবে বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। সদর উপজেলার সংরতি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর জাহান ইসলাম নীরা পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় এবং নাজমুল ইসলাম কাজলের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী নুর জাহান ইসলাম নীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ২০ অক্টোবর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫২৪ জন ভোটারের ভোটগ্রহণ করা হবে ১৭৫টি কেন্দ্রে। ভোট কেন্দ্রে সার্বিক নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ১৭৫ জন প্রিজাইটিং অফিসার ও ১ হাজার ১৩ জন পোলিং অফিসার নিয়োজিত থাকবে। সদর উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে ১৫ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। করোনার সংক্রমণ থেকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সুরতি রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে সাবান-পানির ব্যবস্থা থাকছে। সেইসঙ্গে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের আব্যশক করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার ও ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মধ্যে মাস্ক সরবরাহ করা হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকছে। নির্বাচনী এলাকায় ২ জন জুডিশিয়াল ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ১৫০০ পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ১৮টি মোবাইল টিম ও ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্সের ছয়টি টিম নির্বাচনের মাঠে সার্বণিক কাজ করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের নিয়োজিত রাখা হবে। জেলা পুলিশ প্রশাসন সূূত্র জানায় কালকের ভোট অতীতের ২/১০ বছরে ব্যতিক্রম। এখানে বাহুবল ও মাঠ দখলের ব্যাপার স্যাপার রয়েছে। এ কারনে তোড় জোড় ব্যাপক। ফলে ভোট কেন্দ্রে যেমন মানুষ থাকবে তেমনি মাঠ দখলের প্রতিযোগিতা হবে। সেদিক মাথায় রেখেই মাঠ সাজানো হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here