ঝাঁপা (রাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপায় ক্রয়কৃত জমি দখল করা নিয়ে দু’পরে মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায় স্থানীয় পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করে। গত রবিবার সকালে উপজেলার ঝাঁপা বাস্ততলা মাদ্রাসা মোড়ে স্থানীয় জসিম উদ্দিন ও জাকির হোসেন-সিরাজুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে এ গোন্ডগোল গৃষ্টি হয়। জানা যায়, ঝাঁপা মৌজার ৮৩৩০ নম্বর দাগের একাংশের ৬ শতক জমি মৃত মকছেদ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে স্থানীয় জাকির হোসেন ৩ শতক ও সিরাজুল ইসলাম ৩ শতক জমি ক্রয় করে। সেই ৬ শতক জমি দুইজনের নামে ২০১৪ সালে লিখে দেন আব্দুল মান্নান। যার দলিল নম্বর-৯১২৭/১৪। এর আগে ২০১১ সালে একই দাগের সাড়ে ৪ শতক জমি আব্দুল মান্নানের তিন বোন কদবানু, ফতেমা ও শহরবানুর কাছ থেকে ক্রয় করে ঝাঁপা বাস্ততলা মোড়ের আব্দুস সালাম। সিরাজুল ইসলাম তার অংশে ঘর নির্মাণ করে দখল করে রেখেছে। আর জাকির হোসেনের ও আব্দুস সালামের অংশ ফাঁকা থাকে। সেই জমির উপর হঠাৎ আব্দুস সালামের ছেলে জসিম কাঠের ঘর তুলে দখলে নিতে যায়। এসময় জসিম ও জাকির-সিরাজের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক গোন্ডগোলের গৃষ্টি হয়। উভয় পরে উত্তেজনায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ঝাঁপা বাস্ততলা মোড়ে আতংক গৃষ্টি হলে স্থানীয় ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে দু’পরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ শান্ত করে। এব্যাপারে উল্লেখিত জমির মালিক সিরাজুল ইসলাম জানান- জসিম লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক জাকিরের অংশের জমি দখলের চেষ্টা করে। আমরা বুঝতে পেরে বাঁধা দিতে গেলেই, জসিম তার লোকজন লাঠি-সোটা নিয়ে আমাদের উপর মারমুখী অবস্থান নেয়। একই দাগের সাড়ে ৪ শতক জমির মালিক মৃত আব্দুস সালামের ছেলে জসিম বলেন- আমরা, আমাদের জমি দখল করতে গেলে জাকির-সিরাজের লোকজন বাঁধা দেয়।
স্থানীয়রা বলেন- দু’পরে বাঁধা-বাঁধির কারণেই গোন্ডগোলের গৃষ্টি হয়। এতে ব্যাপক উত্তেজনায় আতংকিত হয়ে পড়ে এলাকা। স্থানীয়রা আরো জানান- এই জমি বিরোধের জের ধরে যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরণের সংঘর্ষ হতে পারে ঝাঁপা বাস্ততলা মাদ্রাসা মোড়ে। ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ওয়াসিম আকরাম এব্যাপারে বলেন- বাস্ততলা মোড়ে গোন্ডগোল হচ্ছে, এমন সংবাদ পেয়েই ওখানে যেয়ে গৃষ্ট গোন্ডগোল শান্ত করি এবং উভয়পকে আইনী সহয়তা নিয়ে তাদের জমির উপর যেতে বলি।