স্টাফ রিপোর্টার : যশোরে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় পুলিশের এক এএসআইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামি আব্দুস সালাম রাজবাড়ী জেলার কালুখালি উপজেলার বড় পাতুরিয়া গ্রামের লোকমান শেখের ছেলে। মঙ্গলবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন এ আদেশ দেন।
এরআগে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের এড়েন্দা গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে রোকসানা খাতুন বাদী হয়ে যশোর আদালতে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারী সালামের সাথে রোকসানার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকসানার পরিবার সোনার দুল, চেইন, হাতের রুলি সহ সাত ভরি গহনা দেয়। যার দাম তিন লাখ টাকা। বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকদাবি করতে থাকে। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় রোকসানাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি রোকাসানা মারপিট আামির ভাড়াবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে পহেলা ফেব্রুয়ারী সালাম বোনের বাড়িতে বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক ভাবে বসাবসি হয়। কিন্তু সালাম পাঁচ লাখ টাকা নাদিলে সংসার করবেনা বলে জানান। বাধ্য হয়ে বাদী আদালতের আশ্রয় নেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী চুন্নু জানান সালাম বরগুনা জেলা পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। মেয়েলি সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের পর তিনি বর্তমানে বরগুনা পুলিশ লাইনে কোজ ছিলেন। আদালত বাদী অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারি করেন। মীমাংশার শর্তে জামিন নেন সালাম। কিন্তু পরে মিমাংশা না করায় মামলার ধার্য তারিখে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, সালামের একাধিক বিয়ে রয়েছে। প্রথম স্ত্রী ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা নুর মোহাম্মদ বিশ্বাসের মেয়ে রেহানা আক্তার। পরে একই জেলার শৈলকুপা থানার নুরুল ইসলামের মেয়ে হেনা বেগমকে বিয়ে করে। তারপর বিয়ে করে বাদী রোকসানাকে। শুধুই তাই নয়, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় অন্যের স্ত্রীর সাথেও তিনি অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। পরে ওই গৃহবধুর স্বামী পুলিশের উর্দ্বোতন মহলে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন। এসব একাধিক অভিযোগে তাকে পুলিশ লাইনে কোজড করা হয়।